মুক্তি পেলেন পরীমনি

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ শাহ শরীফ জানান, আদালত থেকে পরীমনির জামিনের কাগজপত্র মঙ্গলবার রাতে কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে আদালতের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে পরীমনিকে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে পরীমনির জামিনের আদেশ দেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। নারী, অভিনেত্রী ও অসুস্থতা বিবেচনায় ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। কিন্তু গতকাল তার জামিনের কাগজপত্র কারাগারে না পৌঁছায় মুক্তি দেয়নি কারা কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের জেল সুপার হালিমা খাতুন জানিয়েছিলেন, লকআপে ঢোকানোর আগে কাগজপত্র না পাওয়ায় আসামিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী বুধবার সকালে মুক্তি পাবেন পরীমনি।গত ৪ আগস্ট পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে বিপুল মদ ও মাদকসহ আটক করে র‌্যাব। ওই দিনই নায়িকার নামে বনানী থানায় মাদক আইনে একটি মামলা হয়। মামলার তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। এরপর ৫ আগস্ট পরীমনিকে আদালতে তুলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার সাত দিনের রিমান্ড চায় সিআইডি। শুনানি শেষে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

সেই রিমান্ড শেষে গত ১০ আগস্ট পরীমনিকে ফের আদালতে তোলা হয়। সেদিন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাকে আরও পাঁচ দিনের রিমান্ডে চায়, অন্যদিকে পরীমনির আইনজীবী তার জামিন আবেদন করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে নায়িকাকে আরও দুই দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।সেই দুই দিনের রিমান্ড শেষে গত ১৩ আগস্ট তৃতীয় দফায় আদালতে তোলা হয় পরীমনিকে। এদিনও নায়িকার জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী। সেই আবেদন খারিজ করে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। সেদিন বিকালেই পরীমনিকে নিয়ে যাওয়া হয় কাশিমপুর কারাগারে। রাখা হয় মহিলা ওয়ার্ডে। সেই থেকে গত ১৮ দিন কারাবন্দি ছিলেন পরীমনি।

Advertisement