মৃত্যুর মিছিলে একদিনে ৪০, শনাক্ত ২৫৪৫

ব্রিট বাংলা ডেস্ক : গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৫৪৫ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫০ জনের। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন ৪৭ হাজার ১৫৩ জন।

আজ রবিবার (৩১ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা ৩৩ জন পুরুষ এবং সাতজন নারী। এঁদের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আটজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে চারজন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫০ জনের।

জানানো হয়, নতুন যে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা ঢাকা বিভাগের ২৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের আটজন, খুলনা বিভাগের দুইজন, রাজশাহী বিভাগের একজন এবং রংপুর বিভাগের একজন। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪০৬ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৭৮১ জন।

ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ২২৯টি। পূর্বের নমুনাসহ পরীক্ষা হয়েছে ১১ হাজার ৮৭৬টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে দুই হাজার ৫৪৫ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪৭ হাজার ১৫৩ জন। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে তিন লাখ আট হাজার ৯৩০টি।

করোনা পরীক্ষায় নতুন করে দুইটি ল্যাব সংযোজিত হয়েছে। ল্যাব দুটি হলো রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও ডিএনএ সলিউশন লিমিটেড, ঢাকা। এ নিয়ে করোনা পরীক্ষায় এখন মোট ল্যাবের সংখ্যা ৫২। গত ২৪ ঘণ্টায় এই ৫২টি ল্যাবে উল্লেখিত নমুনা পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।

আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ৩৯১ জনকে। একইসময় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১২৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন পাঁচ হাজার ৭৯৪ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন হাজার ১৬ জন।

বুলেটিনে জানানো হয়, ঢাকাসহ সারা দেশে মোট আইসোলেশন সংখ্যা ১৩ হাজার ২৮৪টি। বর্তমানে ঢাকা মহানগরীতে সাত হাজার ২৫০টি এবং ঢাকা সিটির বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশন শয্যার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৩০০টিতে।

কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন দুই হাজার ৯৪৭ জন। একইসময় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন হাজার ৪২ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট দুই লাখ ৮৫ হাজার ১৭২ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ২৪ হাজার ৯৯১ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬০ হাজার ১৮১ জন।

সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে সেবা প্রদান যায় বলে জানানো হয় বুলেটিনে।

বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল এসেছে এক লাখ ৭৯ হাজার ৮৩৩টি। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত হটলাইনে ৮৭ লাখ ১৯ হাজার ৯৯২ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা বেড়েছে আরো ১১ জন। এ নিয়ে এখন মোট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬ হাজার ২৩৭ জনে। এ ছাড়া বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে হটলাইনে চার হাজার ২১৭ জন চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানানো হয় বুলেটিনে।

Advertisement