মেসির রাজকীয় জীবন

ব্রিট বাংলা ডেস্ক : বার্সেলোনায় অন্যরকম এক ভুবন লিওনেল মেসির। কাতালান ক্লাবটির জার্সিতে অভাবনীয় সব রেকর্ড গড়ে পেয়েছেন ‘কিং অব কাতালুনিয়া’ খেতাব। বার্সেলোনায় মেসির মাঠের বাইরের জীবনটাও রাজকীয়। তার বসবাসের বাড়ি, ট্যুরিস্ট হোটেল, গাড়ির সংগ্রহশালা সবখানেই আভিজাত্যের ছোঁয়া।

৬২ কোটি টাকার বাড়ি
সমুদ্রের কুলঘেঁষা এক বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন মেসি। বাড়িটি অবস্থিত নো ফ্লাই জোনে। অর্থাৎ ওই এলাকার উপর দিয়ে কোনো বিমান চলাচল করে না। সেখান থেকে বার্সেলোনার ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পের দূরত্ব মাত্র ১২ মাইল। বাড়ির আঙ্গিনায় আছে ছোটখাটো একটা ফুটবল মাঠ, সুইমিং পুল, ইনডোর জিম এবং মেসির ছেলেদের জন্য আলাদা একটি খেলার মাঠ।

 

প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠে ‘বেলেরিক’ সমুদ্রের নৈসর্গিক দৃশ্য দেখেন মেসি। যে দৃশ্য ম্যানচেস্টার, লন্ডন কিংবা প্যারিসে থেকে দেখা সম্ভব নয়। মেসির কাছাকাছিই লুইস সুয়ারেজ ও ফিলিপ কুটিনহোর বাড়ি। মন চাইলে তাদের সঙ্গে হ্যাং আউট কিংবা বারবি-কিউ পার্টি করতে পারেন আর্জেন্টাইন তারকা। মেসির এ বাড়িটির মূল্য ৫.৫ মিলিয়ন বৃটিশ পাউন্ড। বাংলাদেশি টাকায় ৬২ কোটিরও বেশি।

বিলাসবহুল ট্যুরিস্ট হোটেল
ভ্রমণপিপাসুদের জন্য বার্সেলোনা একটি আদর্শ শহর। প্রতিবছর সেখানে হাজার হাজার পর্যটক যান ঘুরতে। তাদের চাহিদা মেটাতে বার্সেলোনায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য ট্যুরিস্ট হোটেল। মেসিরও একটি রাজকীয় ফোর স্টার হোটেল রয়েছে বার্সেলোনার সমুদ্র উপকূলবর্তী শহর সিটগেস-এ। ২৬ মিলিয়ন বৃটিশ পাউন্ড দিয়ে হোটেলটি কিনেছেন তিনি। বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৯২ কোটি ৬০ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা। মূল শহর থেকে ২৬ মাইল দূরে অবস্থিত এ হোটেল থেকে মাত্র ১০০ মিটার হাঁটলেই সমুদ্র। রয়েছে ৭৭টি বেডরুম। ভরা মৌসুমে একেকটা স্ট্যান্ডার্ড রুমে রাত কাটাতে খরচ করতে হবে ১১ হাজার ৮০০ টাকা। হোটেলের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এর ছাদ থেকে শহর ও সমুদ্রের দৃশ্য সুন্দরভাবে দেখা যায়। সুইমিং পুল, স্পাসহ অন্যান্য সুবিধা তো রয়েছেই।

গাড়ির সমাহার
মেসির সংগ্রহে রয়েছে অনেকগুলো বিলাসবহুল গাড়ি। প্রায়ই একটি ফেরারি এফ৪৩ স্পাইডার কার চালাতে দেখা যায় তাকে। যেটির মূল্য ১ লাখ ৭৩ হাজার পাউন্ড। এছাড়া ১ লাখ পাউন্ডের গ্র্যান্ডটুরিসমো এস এবং গ্র্যান্ড টুরিসমো এমসিও রয়েছে তার গ্যারেজে। রয়েছে দেড় মিলিয়ন পাউন্ডের একটি প্যাগানি জন্ডা কার। সবগুলো গাড়ির মূল্য ৩ মিলিয়ন পাউন্ড বা ৩৩ কোটি টাকা। নতুন ঠিকানায় গেলে হয়তো গাড়িগুলো সঙ্গে করেই নিয়ে যাবেন মেসি। থাকবে তার হোটেল ব্যবসাও। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে ওঠে চোখজুড়ানো নৈসর্গিক দৃশ্য হয়তোবা আর দেখতে পাবেন না মেসি।

Advertisement