চলমান মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় মোখার পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। আগামী রোববার বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে বলে আহাওয়া অফিস থেকে বলা হয়েছে। আর ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য দিনটিতেও এসএসসি পরীক্ষা রয়েছে। প্রাকৃতিক সম্ভাব্য এই দুর্যোগে পরীক্ষা হবে কিনা এ নিয়ে সংশয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। উপকূলীয় এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ভয় ও শঙ্কা বিরাজ করছে। তবে শিক্ষা প্রশাসনের কর্তারা বলছেন, ঝড়ের গতিপ্রকৃতি ও সার্বিক অবস্থা বুঝে পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঘূর্ণিঝড় মোখার অবস্থান ছিল বাংলাদেশ উপকূল থেকে মোটামুটি ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে আবহাওয়াবিদরা যে পূর্বাভাস দিয়েছেন, তাতে রোববার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে এ ঝড় কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের কিয়াউকপিউয়ের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রচুর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আবার ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢল ও ভূমিধসের ঝুঁকিও তৈরি হয়।রোববার সকাল ১০টা থেকে বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের পদার্থ বিজ্ঞান, মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থীদের বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষার্থীদের ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ের পরীক্ষা হওয়ার কথা। আর পরদিন সোমবার রয়েছে গার্হস্থ্য বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়), কৃষি শিক্ষা (তত্ত্বীয়), সংগীত, আরবি, সংস্কৃত, পালি, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া এবং চারু ও কারুকলা বিষয়ের পরীক্ষা।পূর্বাভাস ঠিক থাকলে শনিবার রাত থেকেই ঝড়ের প্রভাব পড়বে উপকূলীয় এলাকায়। সেক্ষেত্রে রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নির্ধারিত এ পরীক্ষার কী হবে সেটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনার শেষ নেই।এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতি ভয়াবহ হলে পরিস্থিতি বুঝে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।