ব্রিটেনজুড়ে ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছে ঝড় ইউনিস। এতে দেশটিতে অন্তত ৩ জন নিহত হয়েছে। এটিকে বলা হচ্ছে গত কয়েক দশকের মধ্যে বৃটেনে আঘাত হানা সবথেকে শক্তিশালী ঝড়। ঘন্টায় ১২২ মাইলেরও বেশি গতিতে এটি বৃটেনের উপরে দিয়ে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। ১৯৭৯ সালের পর এটাই বৃটেনে সর্বোচ্চ বাতাসের গতিবেগ নিয়ে আঘাত হানা ঝড়। এতে ২ লাখের বেশি বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
বিবিসির খবরে জানানো হয়েছে, ঝড়ের আগেই বাসিন্দাদের ঘরের ভেতরে অবস্থান করার পরামর্শ দিয়েছিল বৃটিশ কর্তৃপক্ষ। লন্ডন, হ্যাম্পশায়ার ও মার্সিসাইডে একজন করে নিহত হয়েছেন। মৃতের খবর পাওয়া গেছে বৃটেনের বাইরে থেকেও।ইউনিসের আঘাতে ইউরোপের অন্য অংশে মোট ৫ জন নিহত হয়েছেন। বৃটেনের অনেক অংশে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে স্কুল। এছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও প্রভাব পড়েছে ইউনিসের কারণে। অনেক জায়গায় রেললাইনের উপর গাছ উপড়ে পড়ে বা অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। রেল কোম্পানি এ সময় জনগণকে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে। ‘রেল ডেলিভারি গ্রুপ’র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, যাদের টিকিট অগ্রিম কাটা ছিল তারা কোনো ধরণের অতিরিক্ত ফি ছাড়াই টিকেটের মূল্য ফেরত নিতে পারবেন বা সপ্তাহান্তে তাদের টিকেট ব্যবহার করতে পারবেন।
ঝড়ের কারণে এখন পর্যন্ত ৪ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হয়ে গেছে। ওয়েলস, কর্নওয়েল, ডেভন, সামারসেট, উইল্টশায়ার, হ্যাম্পশায়ার, ডোরসেট এবং ব্রিসটলে শত শত স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশজুড়ে ট্রেন চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। ডেভন বন্দরে জাহাজ চলাচল আপাতত সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে। ইউনিসের কারণে লাল সতর্কতা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় নানান ধরনের সতর্কতা জারি করেছিল দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। বৃটেনে সাধারণত খুবই বিরল ক্ষেত্রে লাল সতর্কতা জারি করা হয়। এই সতর্কতার অর্থ হচ্ছে, ঝড়ের বাতাস ঘরের ছাদ উড়িয়ে নিতে পারে, বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও গাছ উপড়ে ফেলতে পারে এবং বাতাসে উড়ে বেড়ানো ধ্বংসাবশেষ যে কারও জীবনের জন্য হুমকি হয়ে আবির্ভূত হতে পারে।