ব্রিট বাংলা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সংক্রামক রোগ বিষয়ক শীর্ষ বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্থনি ফাউসি বলেছেন, করোনা ভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে মারা যাবেন এক লাখ থেকে দুই লাখ মানুষ। আক্রান্ত হবেন লাখ লাখ। রোববার সকালে তিনি এ সতর্কতা দিয়েছেন। এদিন সকালে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা ছিল কমপক্ষে এক লাখ ৩২ হাজার। করোনায় শুধু যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছেন কমপক্ষে ২৩৫৫ মানুষ। দুদিন আগের তুলনায় এ সংখ্যা দ্বিগুন। এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের মূল স্থান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে নিউ ইয়র্ক সিটি। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৭৮৬ জন।
মারা গেছেন কমপক্ষে ৬৭৮ জন। এর বাইরে ডেট্রোয়েট, শিকাগো এবং নিউ অরলিন্স নতুন করে করোনার উৎস বা হটস্পট হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় হোয়াইট হাউজের করোনা ভাইরাস বিষয়ক সমন্বয়ক ডা. ডেবোরাহ বিরক্স বলেছেন, নিউ ইয়র্কের মতো একই রকম সংক্রমণ দেখা দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি মেট্রো এলাকায়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মেইল।
ডা. ফাউসি রোববার সকালে সিএনএনের স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন অনুষ্ঠানে দেয়া সাক্ষাতকারে তার পূর্বাভাষ দিয়েছেন। তিনি প্রথমে বলেন, আমি বলতে চাই এই ভাইরাসে এক লাখ থেকে দুই লাখের মতো ঘটনা ঘটবে। পর মুহূর্তেই তিনি তা সংশোধন করে বলেন, আমি বলতে চেয়েছি এই সংখ্যক মানুষ মারা যেতে পারেন। লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হবেন। ওদিকে যেসব এলাকায় করোনা ভাইরাস মারাত্মকভাবে দেখা দেয় নি, সেখানে বিধিনিষেধ শিথিল করতে চাইছে সরকার। সরকারের এ উদ্যোগকে সমর্থন করেন কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে ডা. ফাউসি বলেন, যদি পর্যাপ্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকে তাহলে সামাজিক দূরত্ব বিষয়ক নির্দেশনার অধীনে তিনি এমন উদ্যোগকে সমর্থন করতে পারেন। এ সময় নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি ও কানেকটিকাটের অংশবিশেষে কঠোরতা কমিয়ে আনতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আলোকপাত করেন। দৃশ্যত তা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মতের বিরোধিতা। তিনি বলেন, এমন কিছু চাপিয়ে দেয়া উচিত হবে না, যা আরো বড় জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে মোট যে পরিমাণ মানুষ নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তার মধ্যে শতকরা প্রায় ৫৬ ভাগই নিউ ইয়র্ক সিটির।
ওদিকে হোয়াইট হাউজের করোনা বিষয়ক সমন্বয়ক ডা. ডেবোরাহ বিরক্স এনবিসির মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বলেছেন, করোনা ভাইরাস মহামারি থেকে কোনো এলাকাই রেহাই পাবে না। প্রতিটি মেট্রো এলাকাকে ধরে নিতে হবে যে, তারাও নিউ ইয়র্কের মতো একই রকমভাবে করোনা সংক্রমণে পড়বে। তিনি আরো বলেন, হাসপাতালগুলো যাতে রোগীতে গাদাগাদি হয়ে না যায় এ জন্য ভেন্টিলেটর সহ বিভিন্ন সরঞ্জামের সরবরাহ পৌঁছে দিতে কঠোরভাবে কাজ করছে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।