যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনও ভূমিকা রাখতে পারবে না: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বা বিদেশি শক্তি যত বড় ক্ষমতাধরই হোক না কেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে তারা কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে না। গতকাল সচিবালয়ে বিদেশিদের সঙ্গে বিএনপি’র সামপ্রতিক বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। বলেন, বিদেশি বা আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে বিএনপি মতবিনিময় করতেই পারে। তবে ক্ষমতায় যেতে হলে বিএনপিকে দেশের জনগণের কাছে যেতে হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েই ক্ষমতায় আসতে হবে। বিএনপি যদি মনে করে বিদেশিদের সঙ্গে আলোচনা করে আন্দোলনের ক্ষেত্র তৈরি করবে- সেটা কোনোদিনই সফল হবে না। পৃথিবীর কোনো দেশেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই, বাংলাদেশেও আর কোনোদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না। এ সময় চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে এবং চাল আমদানিতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না দাবি করে মন্ত্রী বলেন, চাল আমদানির ফলে কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই। বাজার স্থিতিশীল রাখতেই সরকার চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। চাল আমদানির একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টার্গেট আছে।

সেই পরিমাণ চাল দেশে এসে গেলে আমদানি বন্ধ করে দেয়া হবে। আমরা প্রতিদিনই নিবিড়ভাবে বাজার মনিটর করছি। এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয় একত্রে কাজ করছে। কাজেই চাল আমদানির ফলে দেশীয় কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই। মন্ত্রী বলেন, চালের দাম চাহিদা-সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল। তবে সিন্ডিকেট করে অনেকে বেশি মুনাফা করার চেষ্টা করে। এদের নিবৃত করার জন্যও চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। আমদানির ফলেই চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। আমার ধারণা, দাম কিছুটা কমেছে। দেশে ধানের অবৈধ মজুত সন্ধানে অভিযান থেমে যায়নি বলেও জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী। এর আগে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে কৃষিখাতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) নিয়ে পর্যালোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী। বলেন, দেশের কৃষি প্রকৃতিনির্ভর এবং কৃষি সবসময়ই বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকে। সামপ্রতিক বন্যায় সিলেট, সুনামগঞ্জসহ ১২টি জেলায় ফসলের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, আগস্টে আরেকটি ভয়াবহ বন্যার পূর্বাভাস রয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছে, এটি একটি রুটিন কাজ। আমরা ব্যাপক পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। একইসঙ্গে নাবী জাতের (লেইট ভ্যারাইটি) ধান চাষে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সংস্থা প্রধান এবং কৃষি-শিল্প উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement