যুদ্ধাপরাধী, সংখ্যালঘু নির্যাতনকারী কাউকে ভোট না দেয়ার আহবান

গত ৩০ অক্টোবর বরিশালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দায়িত্ব, সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা বিষয়ে বিভাগীয় কর্মশালা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নগরীর রায় রোডস্থ খেয়ালী গ্রুপ থিয়েটার হলরুমে সেক্যুলার বাংলাদেশ মুভমেন্ট ইউকে’র আয়োজনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অর্পিত সম্পত্তির মামলা পরিচালনার জন্য পৃথক আদালত ও বিচারকের দাবী জানিয়েছে বক্তারা। পাশাপাশি এই সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক মন্ত্রলায়রের করারও দাবী জানায়তারা।

সেক্যুলার বাংলাদেশ মুভমেন্ট ইউকে’র সভাপতি পুষ্পিতা গুপ্তের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল।

বিভাগীয় কর্মশালায় বক্তারা বলেন, সংখ্যালঘুর অধিকার প্রকাশে রাষ্ট্রের স্বইচ্ছা দরকার। দেশভাগের সময় ত্রিশ ভাগের উপরে সংখ্যালঘু ছিল এই বাংলায়। তা ধীরে ধীরে লোপ পাচ্ছে। এতে করে আমরা যে চিত্র পাই তা সুখকর নয়। একটা লোক যখন তার ভিটে মাটি ছাড়তে বাধ্য হয় তখন বুঝতে হবে তার মনের অবস্থা।তারা আরো বলেন, ২০০১ এর ন্যায় বরিশাল সীমান্তবর্তী রামশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি যাতে না হয় সে বিষয়ে সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা থাকতে হবে। এছাড়াও আগামী নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘু সহিংসতা বন্ধেজেলায় জেলায় মনিটরিং সেল গঠন ও যুদ্ধাপরাধী ও তাদের সাহায্যকারী ও সংখ্যালঘু নির্যাতন কারীদের ভোট না দেয়ার আহবান জানান। জাতীয় সংসদ সহ সকল প্রতিষ্ঠানে যথাযথ সংখ্যালঘু প্রতিনিধিত্ব ও সংখ্যালঘুদের জন্য পৃথক নির্বাচনী ব্যবস্থার দাবী জানান।

এ্যাড সুভাষ চন্দ্র দাস বর্তমানে অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে ট্রাইবুনালে আলাদা বিচারক না থাকায় অর্পিত সম্পত্তির সুফল সবাই পাচ্ছে না বলে অভিমত।

বিগত ৯২ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে সংখ্যালঘু নির্যাতনে কোন বিচার না হওয়া, সংখ্যালঘু নির্যাতনকে বৃদ্ধি করছে বলে অভিমত প্রকাশ করেন, পূজা উদযাপন পরিষদের মহানগর সম্পাদক সুরঞ্জিত দত্ত লিটু। অনুষ্ঠানে বক্তারা আলাদা সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয়ের দাবী জানান।

সভায় বরিশালে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ আগামী সংসদ নির্বাচেনে তাদের উদ্বেগ জানিয়ে, সরকারকে তা নিরসনের দাবী জানান।

ডেইলি স্টারের বরিশাল প্রতিনিধি সুশান্ত ঘোষের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সেক্যুলার বাংলাদেশ মুভমেন্ট ইউকে’র উপদেষ্টা আনসার আহমেদ উল্লাহ, বাংলাদেশ প্রতিনিধি এটিএম রাশেদুল ইসলাম, আদিবাসী ককাসের সদস্য জান্নাতী ফেরদৌসি, সিনিয়র সাংবাদিক অ্যাডভোকেট মানবেন্দ্র বটব্যাল, বরিশাল মেট্রোপলিটান প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, মুক্তিযোদ্ধা কেএস মহিউদ্দিন মানিক বীরপ্রতিক, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক সুরঞ্জিত দত্ত লিটু, অ্যাডভোকেটতপন চক্রবর্তী, অধ্যাপিকা টুনু রানী কর্মকার, বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সাধারন সম্পাদক মিন্টু কুমার কর প্রমুখ।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সরকারি ব্রজমোহন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক স.ম ইমানুল হাকিম, অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ক সরকারি আইনজীবি অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র দাস নিতাই, ডাঃ সৈয়দ হাবিবুর রহমান, রনজিৎ দত্তসহ বিভিন্ন জেলার সামাজিক ও সাংষ্কৃতিক এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

Advertisement