ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ হিসেবে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ রন ক্লেইনকে নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট জো বাইডেন। ডেমোক্র্যাট দলের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
১৯৮০ সালের দিকে সিনেটের জুডিশিয়ারি কমিটিতে জো বাইডেনের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন ক্লেইন। পরবর্তী সময়ে বাইডেন যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট হন, তখনো তাঁর চিফ অব স্টাফ হিসেবে কাজ করেছেন এই মার্কিন কর্মকর্তা।
রন ক্লেইন বারাক ওবামার শাসনামলে হোয়াইট হাউসে তাঁর শীর্ষ সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন। এমনকি তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোরের চিফ অব স্টাফ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফের দায়িত্ব হচ্ছে, প্রেসিডেন্টের প্রতিদিনের কাজকর্মের সময়সীমা ঠিক করে দেওয়া। কখনো কখনো এই কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে প্রেসিডেন্টের রক্ষী হিসেবেও উল্লেখ করা হয়ে থাকে। একজন প্রেসিডেন্ট তাঁর রাজনৈতিক ক্ষমতাবলে তাঁর চিফ অব স্টাফ নিয়োগ দিয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে সিনেটের অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না।
রন ক্লেইনের প্রতি সম্মান জানিয়ে জো বাইডেন বলেন, ‘তাঁর গভীর, বিচিত্র অভিজ্ঞতা এবং বর্ণালি রাজনীতিতে মানুষের সঙ্গে তাঁর কাজ করার ক্ষমতার জন্যই হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ হিসেবে তাঁকে বিশেষ প্রয়োজন। আমরা যে সংকটময় মুহূর্তের মুখোমুখি হয়েছি, তা থেকে আমাদের দেশকে আবার একত্রিত করতে চাই।’
অপরদিকে, রন ক্লেইন তাঁর প্রতি আস্থা রাখায় প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট বাইডেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আমার দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকব। তাঁকে (জো বাইডেনকে) সব ধরনের সহায়তা দিতে আমি উন্মুখ হয়ে আছি।’
গত ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের নির্বাচনী অফিস থেকে সংগৃহীত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জো বাইডেনকে জয়ী হিসেবে ঘোষণা করেছে।
নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেন আন্তর্জাতিক নেতাদের অভিনন্দনও পেয়েছেন। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জো বাইডেন জিতলেও ফল মেনে নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেননি ট্রাম্প। উল্টো পরাজয় অস্বীকার করে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে আইনি পদক্ষেপের ঘোষণা দেন তিনি।
শুধু ট্রাম্পই নন, বরং তার দলও বাইডেনের জয় প্রত্যাখ্যান করেছে। ডেমোক্র্যাট দলের এই বড় জয়ের খবরে রিপাবলিকানদের পক্ষ থেকে কোনো অভিনন্দন জানানো হয়নি। তারা এই ফলাফল মেনে নেয়নি।