রাকিবুল-বিষ্ণুদের স্লেজিং নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন শচীন

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে বাংলাদেশি ও ভারতীয় ক্রিকেটাদের আগ্রাসী আচরণের সমলোচনা করেছিলেন কপিল দেব, মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের মতো গ্রেটরা। এবার সে ঘটনার সমালোচনা করলেন ভারতের কিংবদন্তী ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার।

মাঠে আবেগ নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি শেখানোর তাগিদ দিয়ে শচীন বলেন, ‘খেলার মাঠে আগ্রাসী হওয়াটা খারাপ কিছু নয়। তবে সেটা করতে গিয়ে খারাপ ভাষা বা এরকম কিছু করাটা উচিত নয়। এসব মুহূর্তে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখতে হবে। এ বিষয়টা শেখানোও যেতে পারে। তবে শেখার আগ্রহ থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ।’

ক্যারিয়ারে অসংখ্যবার স্লেজিংয়ের শিকার হয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার। সেটার জবাব তিনি দিয়েছেন ব্যাট হাতে। টেনিস তারকা রজার ফেদেরারের উদাহরণ টেনে শচীন বলেন, ‘ব্যাট বা বল করার সময় আগ্রাসন দেখানো যেতেই পারে।

কিন্তু সেটা যেন মাত্রা না ছাড়ায়। রজার ফেদেরার কি জিততে চায় না? ও কি আগ্রাসী নয়? কোর্টে প্রতিটি পয়েন্ট জিততে মরিয়া থাকে ফেদেরার। এটা করতে গিয়ে সে প্রতিপক্ষকে অসম্মান করে না।’

ফাইনালের ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত করে আইসিসি। সে অনুযায়ী শাস্তিও পেয়েছেন বাংলাদেশের শামীম হোসেন, রাকিবুল হাসান ও তৌহিদ হৃদয়। দুই ভারতীয় ক্রিকেটার রবি বিষ্ণু ও আকাশ সিংকেও শাস্তি দেয় আইসিসি। তৌহিদ হৃদয় সর্বোচ্চ ১০ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পান। এছাড়া শামীম আট ম্যাচ ও রাকিবুলকে চার ম্যাচ নিষিদ্ধ করে আইসিসি। আর ভারতের আকাশ সিং আট ম্যাচ ও রবি বিষ্ণয় পাঁচ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হন। অনূর্ধ্ব-১৯, ‘এ’ দল ও জাতীয় দলের ম্যাচ এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

Advertisement