রাজপুত্র হ্যারি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর পর থেকে ব্রিটিশ রাজপরিবার সম্পর্কে নানা বিস্ফোরণ তথ্য সামনে এসেছে। সম্প্রতি হ্যারি রাজপরিবারের জীবনের সাথে রিয়েলিটি শো ও চিড়িয়াখানার জীবনের সাথে তুলনা করেছেন। তিনি বলেছেন,যে দুঃখ তিনি তার পরিবারের কাছ থেকে পেয়েছেন সে একই দুঃখ তার সন্তানরাও পাক এটি তিনি চান না।হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগানের প্রথম সন্তানের নাম আর্চি। শীঘ্রই আরেকটি নতুন মুখ যোগ হবে হ্যারি ও মেগানের সংসারে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পডকাস্টার ডাক্স শেপার্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডিউক অব সাচেক্স হ্যারি বলেন, পরিবারগতভাবে তার বাবা চার্লস নিজের বাবা-মা প্রিন্স ফিলিপ ও রানি এলিজাবেথের কাছ থেকে কষ্ট পেয়েছেন। সেই একই কষ্টের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে হ্যারিকেও।হ্যারি আরও জানান, ২০ বছর বয়সেই তিনি রাজপরিবার ছাড়তে চেয়েছিলেন। রাজপরিবারের জীবনকে তার মনে হয়েছে ‘দ্য ট্রুম্যান শো’ ও চিড়িয়াখানায় থাকার মতো’।প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য ট্রুম্যান শো’ ছবির কাহিনী আবর্তিত হয়েছে ট্রুম্যান নামের এক ব্যক্তিকে ঘিরে। যিনি এক পর্যায়ে বুঝতে পারেন তার জীবনটাই একটা রিয়েলিটি শো। তিনি যাদের পরিবারের সদস্য এবং বন্ধু ভাবছেন তারাও ওই শোয়ের অভিনেতা।হ্যারি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর তুলনামূলকভাবে অনেকটা মুক্ত অনুভব করছেন। নিজের ইচ্ছেমতো সন্তানের সঙ্গে সময়টা উপভোগ করতে পারছেন।এর আগে রাজপরিবারের বিরুদ্ধে বর্ণবাদ ও বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ এনেছিলেন হ্যারি ও মেগান। সূত্র : এবিসি ডটনেট