রানি এলিজাবেথের পুত্র প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের মামলা

যৌন সহিংসতার অভিযোগ এনে বৃটেনের রানি এলিজাবেথের দ্বিতীয় পুত্র প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিউ ইয়র্কে শিশু নির্যাতন বিরোধী এক আইনের অধীনে সোমবার প্রিন্সের বিরুদ্ধে ওই মামলাটি করেন ভার্জিনিয়া জোফ্রে নামের এক নারী। এর আগে তিনি যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের বিরুদ্ধেও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন। তার দাবি, লন্ডন ও নিউইয়র্কে ১৮ বছরের কম বয়সেই প্রিন্স অ্যান্ড্রুর দ্বারা তিনি যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন।জেফরি এপস্টেইন নিউ ইয়র্ক জেলে বসে আত্মহত্যা করার প্রায় দুই বছরের মাথায় প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন ভার্জিনিয়া জোফ্রে। যৌনতায় শিশুদের ব্যবহারের অভিযোগে মৃত্যুর সময় এপস্টেইনের বিরুদ্ধে মামলা চলছিল। নিউইয়র্কের শিশু নির্যাতন বিরোধী আইনে নিপীড়নকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের অধিকারের আওতা বাড়ানো হয়েছে। যদিও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রন্স অ্যান্ড্রু।২০১৯ সালেই তিনি জানিয়েছিলেন এরকম কিছু কখনো ঘটেনি। সেসময় বিবিসির এক অনুষ্ঠানে এসে তিনি বলেন, এরকম কিছু ঘটেনি। আমি সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারি, এরকম কখনোই ঘটেনি। এই ভদ্রমহিলার সঙ্গে কখনোই পরিচয় হয়নি আমার। যদিও জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে স¤পর্ক রাখার জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তবে জেফরি যে যৌন অপরাধের সঙ্গে জড়িত তা তিনি জানতেন না।

জোফ্রের অ্যাটর্নি ড্যাভিড বোয়িস বলেন, এখন যদি এই অভিযোগ দায়ের করা না হয় তাহলে প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে তার অপরাধ থেকে দায়মুক্তি দেয়া হবে। মামলায় ক্ষতিপূরণও দাবি করা হয়েছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০ বছর আগে প্রিন্স অ্যান্ড্রু তার স¤পদ, ক্ষমতা, পদ এবং যোগাযোগকে ব্যবহার করে একজন ভিত, ঝুকিপূর্ণ শিশুকে যৌন নির্যাতন করেছেন যখন ওই শিশুকে বাঁচানোর কেউ ছিল না।আরও বলা হয়েছে, সেই সময় লন্ডনে এপস্টেইনের একজন সহযোগী গিলেইন ম্যাক্সওয়েলের বাড়িতে ভার্জিনিয়াকে যৌন নিপীড়ন করেছেন অ্যান্ড্রু। পরবর্তীতে ম্যানহাটনে এপস্টেইনের বাড়িতেও একই কাজ করেন তিনি।

Advertisement