রোনালদিনহোর বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ, প্রমাণিত হলে ৫ বছরের জেল

ব্রিট বাংলা ডেস্ক : নতুন ঝামেলায় ব্রাজিলিয়ান ফুটবল সুপারস্টার রোনালদিনহো। স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মুন্দো দেপোর্তিভো বলছে, মানি লন্ডারিং চক্রের সঙ্গে রোনালদিনহোর জড়িত থাকার ব্যাপারে তদন্ত করছে প্যারাগুয়ে পুলিশ। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৫ বছরের জেল হতে পারে তার। জাল পাসপোর্ট নিয়ে প্যারাগুয়েতে ঢোকায় বর্তমানে কারাগারে বন্দি রয়েছেন ব্রাজিলিয়ান এই ফুটবলার ও তার ভাই। প্যারাগুয়ের আইন অনুযায়ী, পাসপোর্ট জালিয়াতির কারণে ছয় মাসের জেল হয়েছে তাদের।

তদন্তে উঠে এসেছে রোনালদিনহোকে জাল পাসপোর্ট সরবরাহ করেন ডালিয়া লোপেজ নামের এক নারী। ‘অ্যাঞ্জেল ব্রাদারহুড ফাউন্ডেশন’-এর সঙ্গে জড়িত তিনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এসবের আড়ালে ‘মানি লন্ডারিং’ চালান ডালিয়া। প্যারাগুয়ের অ্যান্টি-করাপশন মিনিস্টার রেনে ফার্নান্দেজের নির্দেশে ডালিয়ার বিরুদ্ধে ‘গ্রেপ্তারি পরোয়ানা’ জারি করেছে আদালত।
বুধবার আদালতে হাজিরা ছিল ডালিয়ার। কিন্তু তার আইনজীবী কোর্টে এসে জানান, করোনা ভাইরাস আতঙ্কে কোর্টে আসেননি ডালিয়া। কারণ উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগে ভুগছেন তিনি। এমন শারীরিক অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হলে ঝুঁকিতে পড়ে যাবে ডালিয়ার জীবন।

রোনালদিনহোর মামলার গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র রয়েছে ডালিয়ার কাছে। ব্রাজিলিয়ান তারকার আইনজীবীদের দাবি, রোনালদিনহো কিংবা তার ভাই ভুয়া পাসপোর্টের বিষয়টি জানতেন না। ডালিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় বিষয়টি অমিমাংসিত থেকে গেছে। রোনালদিনহো পড়েছেন বিপদে। আলাদত জানিয়েছে, ৬ মাসই জেলে থাকতে হবে তাকে।

এর আগে কয়েকবার জামিনের চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হন রোনালদিনহো। মাঝে পেরুর সংবাদপত্র ‘লিবেরো’ জানায়, বন্ধু রোনালদিনহোকে আগেভাগে মুক্ত করতে নিজের পকেট থেকে ৪ মিলিয়ন ইউরো খরচ করছেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। বলা হয়, চারজন প্রখ্যাত আইনজীবি নিয়োগ করেছেন বার্সেলোনা অধিনায়ক। তবে পরে জানা যায়, মেসি কোনো উকিল নিয়োগ করেননি কিংবা রোনালদিনহোর জামিনের জন্য ৪ মিলিয়ন ইউরোও খরচ করছেন না।

Advertisement