রয়েল নাওয়াব সব সময় কাস্টমারদের চাহিদা অনুসারে সেরাটা প্রদান করে আসছে

ব্রিটবাংলা ডেস্কঃস্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। আর তাই স্বাস্থ্য বিশেষঞ্জরা সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিকর আর পরিমানমত খাবার খাওয়ার জন্য।

প্রাত্যহিক ব্যায়াম চর্চা আর স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ্য রাখার জন্য অন্যতম মাধ্যম। আর এ ক্ষেত্রে রয়েল নাওয়াব সব সময়ই সচেতন।

রুচিসম্মত সাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনের মাধ্যমে ২০০২ সাল থেকে ম্যানচেষ্টারে যাত্রা শুরু হয় রয়েল নাওয়াবের, বলছিলেন এর প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান মেহবুব হুসাইন মালিক।

সাংবাদিক সম্মেলনে রয়েল নাওয়াবের একক প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মেহবুব হুসাইন মালিক বলেন, রয়েল নাওয়াব সব সময় কাস্টমারদের চাহিদা অনুসারে সেরাটা প্রদান করে আসছে। আর তাই ম্যানচেস্টারের পর লন্ডন শাখাও তার খাবারের মান বজায় রেখে চার বছরের মধ্যেই কাস্টমারদের প্রশংসা খুড়াতে সক্ষম হয়েছে।লন্ডনে নাওয়াবের নিজস্ব রেস্টুরেন্টে ৮ জানুয়ারী সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন তার পুত্র কোম্পানির ডাইরেক্টর ড: মোহাম্মদ ওয়াক্কাস।

 

সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে মালিক আরো বলেন, ১৯৮০ সালে ছোট্র একটি রেস্টুরেন্টের মধ্য দিয়ে তার পথচলা শুরু। তিনি বলেন ত্যাগ, তিতিক্ষা আর উন্নত মানের ব্যাতিক্রমী কিছু দেওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গেছি প্রায় ১৪ বছর। খাবারের প্রতি নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে প্রথবারের মতো ব্যাতিক্রমী আয়োজনের চিন্তা থেকেই শুরু করি লাইভ কুকিং বাফেট এবং ব্যাংকুয়েটিং স্যুাট।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি রয়েল নাওয়াবের ম্যানচেস্টার শাখার ১৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষির্কীর বিষয়টি তুলে ধরেন। সাথে সাথে লন্ডন ও ম্যানচেস্টারের কাস্টমারদের প্রতি কৃতঞ্জতা প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আজকের সংবাদ সম্মেলনের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে রয়েল নাওয়াবের রি ব্র্যান্ডিং করা।

এর কারণ হিসাবে তিনি উল্লেখ করেন যে কাস্টমারদের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক হচ্ছে রয়েল নাওয়াব। আর তাই এই নতুন লগো আমাদের কাস্টমারদের নাওয়াবকে চিনতে আরো বেশী সহজ হবে। তিনি গুরুত্বসহকারে বলেন, আমার কাস্টমার আমার পরিবার।

আজ আমি এ পর্যায়ে এসেছি আমার কাস্টমারদের সহযোগীতায়। আর তাই এই রি ব্র্যান্ডিং প্রক্রিয়া আমাদের কাস্টমারদের সাথে সম্পর্কের বন্ধন আরো সুদৃঢ় করবে বলে তিনি বলেন

প্রতি বছর বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ক্যাটারিং সেক্টরেরর অবদানস্বরূপ ও ভাল মানের খাবার পরিবেশনের জন্য রয়েল নাওয়াব পুরস্কৃত হয়ে থাকে। আর এর শতভাগ সফলতা রয়েল নাওয়াব টিমের ।

আগামীতে রয়েল নাওয়াবের পক্ষ থেকে ব্যতিক্রমী ডাইনিং নিয়ে আসার পরিকল্পনার বিষয়টিও তুলে ধরেন চেয়ারম্যান।

 

পরিশেষে তিনি বলেন, রয়েল নাওয়াবের ম্যানচেস্টার এবং লন্ডন ছাড়াও আর কোথাও কোন শাখা নেই।

আর তিনি ছাড়া কোম্পানিতে আরো দুই জন পরিচালক রয়েছেন, এর একজন ড: মোহাম্মদ ওয়াক্কাস এবং অপরজন আসাদ মালিক।
অনুষ্টানে উপস্থিত ড: মোহাম্মদ ওয়াক্কাস তার পিতার প্রশংসা করে বলেন, আজকে আমরা আমাদের বাবার জন্য গর্বিত। কারণ তার অক্লান্ত সাধনায় এবং পরিশ্রমে একটি ব্যাতিক্রমী ডাইনিং ফুড ইন্ড্রাস্টিতে প্রতিষ্টা লাভ করেছে। তিনিও রয়েল নাওয়াবের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে আরো ব্যাতিক্রমী কুইজিন নিয়ে আশার বানী শুনান।

এতে আরো উপস্থিত ছিলেন ইলিং মেয়র কাউন্সিলর সায়মন উডরুফ, মেয়রীজ মিসেস ভ্যালারী উডরূফ, কাউন্সিলর মুনির আহমেদ, কাউন্সিলর তারিক মাহমুদ, হাসান জুবেরী সহ বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও এশিয়ান কমিউনিটির ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

Advertisement