ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: সারা বিশ্বের মানুষ করোনার তাণ্ডবে কাঁপছে। লকডাউন বাদ দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে মরিয়া হয়ে কাজ করে যাচ্ছে বিশ্বের সব বিজ্ঞানী ও গবেষকরা। তবে লকডাউন কাটিয়ে উঠলেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছে না চীনের উহানের বাসিন্দারা। শুধু উহান নয় লকডাউনের পরবর্তী সময় নিয়ে শঙ্কিত গোটা বিশ্ব।
এপ্রিলের ৮ তারিখে টানা ৭৬ দিন পর লকডাউন উঠানো হয় উহানে। তবে খাতা কলমে লকডাউন উঠলেও বাস্তব জীবনে তার চিত্র ভিন্ন। এখনো বন্ধ রয়েছে অনেক দোকান, রেস্তোরাগুলোয় বন্ধ রয়েছে টেকওয়ে সার্ভিসও। এমনকি মানুষ যখন বাইরে বের হচ্ছে তখন পর্যাপ্ত সতর্কতা নিয়ে বের হচ্ছে। এদিকে গেল ২৫ তারিখে এক বৈঠকে উহান নগর প্রধান জানান,মহামারী কাটিয়ে উঠে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দ্বিগুণ হবে। সরকার-নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম বলছে, এপ্রিলের শেষদিকে শহরটিতে ১০০% উত্পাদন ফিরে আসেব। সেই সাথে চীনা অর্থনীতিবিদ ল্যারি হু বলছেন খুব দ্রুত আগের পরিস্থিতি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। তবে গেল তিন বছরের পরিপ্রেক্ষিতে করোনার ফল আরো অনেকদিন ভোগাবে।
উহানের জনসংখ্যা ১ কোটি ১০ লাখের বেশি। হুবেই প্রদেশের এই উহান শহরকে দেশের বাকি অংশের উৎপাদন ও পরিবহন কেন্দ্র বিবেচনা করা হয়। সেই হিসেবে লকডাউন শেষ হওয়ার সাথে সাথেই চীন সরকার উহানের ব্যবসায় ফিরে যাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। তবে উহানের আগের অবস্থা ফিরে আসতে আরো অনেক সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০২০ সালের প্রথমে হুবেই প্রদেশের জিডিপি কমেছে শতকরা ৪০ ভাগ। রাষ্ট্রীয়ভিত্তিক সংস্থাগুলোকে তাদের ভাড়া মওফুক করা হয়েছে। কিন্তু বেসরকারী প্রতিষ্ঠনগুলো ভাড়া দেওয়ার অভাবে বা অন্যান্য কারণে বন্ধ করা হয়েছে। এক রেস্তোরার প্রধানের সাথে কথা বলে জানা যায়, কেউ খেতে আসে না, দুই থেকে তিনটা অর্ডা অনলাইনে পেয়েছে সে। এরপর দোকান বন্ধ করে দিয়েছে। ব্যবসায়িরা বলছে, দোকান এবং রেস্তোরাগুলো রক্ষা করতে সরকার অনেক দেরি করে ফেলেছে। তবে দ্বিতীয় ধাপে সংক্রমণ হলে তা অর্থনীতিতে নতুন করে ধস নামিয়ে নিয়ে আসবে। গেল সপ্তাহে উহানে ১৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।