দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর লকডাউনে থেকে করোনা সাথে নিয়ে ঈদ উদযাপনের পর এবার ব্রিটেনের মুসলমান সম্প্রদায় পবীত্র ঈদুল আযহা উদযাপন করেছেন করোনা বিধিনিষেধহীন স্বাধীন ও মুক্তভাবে। তবে সরকারী কোন নিষেধ না থাকলেও এই ঈদ উদযাপনেও অনেকেই ছিলেন মাস্ক পরিহিত ও নিরাপদ দুরত্বে সতর্ক থেকে। ঘরের বাইরে মসজিদ বা পার্কে ঈদ জামাতে অংশ গ্রহনের সুযোগ পেয়ে অনেকেই শরীরে শরীর ছোঁয়ার সেই কোলাকোলির সুযোগ নিলেও কেউ কেউ আবার সতর্কতার সাথে তা এড়িয়ে চলেছেন।১৯ জুলাই করোনা বিধিনিষেধ তুলে নেয়ায় ব্রিটেনে বিভিন্ন মসজিদ ও খোলা মাটে অনুষ্ঠিত ঈদ জামাতগুলোতে নেমেছিলো মুসল্লীদের ঢল। লন্ডনের বিভিন্ন পার্কের খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদ জামাত।বাংলাদেশী অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডন মসজিদে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে মোট ৪টি জামাত অনুষ্টিত হয়েছে। প্রতিটি জামাতে প্রায় শত শত মুসল্লি অংশ নিয়েছেন বলে ইস্ট লন্ডন মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানান।
ব্রিকলেন মসজিদেও অনুষ্ঠিত হয় মোট ৪টি জামাত। এই দুটো মসজিদেই মূলত জামাত আদায় করেন কমিউনিটির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।পূর্ব লন্ডন ছাড়াও গ্রেটার লন্ডনের রেডব্রিজ, ডেগেনহাম ও নিউহ্যামসহ বিভিন্ন এলাকার মসজিদ ও খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের জামাত। প্রতিটি জামাতে বিশ্ব মুসলিমের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ মোনাজাত।পূর্ব লন্ডনের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় ঈদের আমেজ ছিল অনেকটা বাংলাদেশের মত। রং বেরংয়ের পোষাক পড়ে রাস্তায় ছোট ছোট বাচ্চাদের চলাচল, মসজিদগুলোর সামনে মুসল্লিদের ভীড়, বাড়ীতে বাড়ীতে আত্মীয় স্বজনের আনাগোনা টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকায় এনে দেয় ঈদের আলাদা এক আমেজ।প্রবাসীরা নিজ দেশে কোরবানী আদায় করলেও অধিকাংশ পরিবারই অন্যান্য বারের মত এবারও লন্ডনেও আদায় করেছেন অন্তত এক রসদ করে কোরবানী ।ফলে বাঙালি ও পাকিস্তানী মালিকানাধীন মাংসের দোকানগুলো পার করেছে ব্যস্ত সময়।এদিকে, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম এক বার্তায় যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের এই ক্রান্তিলগ্নে অনুষ্ঠিত এবারের ঈদ সবার জন্য বয়ে আনুক সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি’।