লিভারপুল বাংলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

শেখ ছুরত মিয়া আছাব : লিভারপুল বাংলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে স্থানীয় একটি হলে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাহান্ন’র ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।প্রেসক্লাব সভাপতি শেখ সুরত মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক ফকরুল আলম ও আবু সাইদ চৌধুরী সাদির পরিচালনায় সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন প্রেসক্লাব সদস্য আব্দুল হান্নান। সভায় বাহান্ন’র ভাষা আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে প্রেসক্লাব সভাপতি বাংলা ভাষা ও বাংলা সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখতে লিভারপুল বাংলা প্রেসক্লাবের অনবদ্য ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।প্রেসক্লাব সভাপতি শেখ সুরত মিয়া বলেন,বিজয় ফুল, একুশে ফেব্রুয়ারি, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ছাত্র – ছাত্রীদের মধ্যে এওয়ার্ড প্রদান এবং বাংলা নববর্ষকে বরণ করে বৈশাখী মেলা উদযাপন সহ বাংলাদেশ ও বহির্বিশ্বে সংগঠিত দুর্যোগে আর্থিক সহায়তায় লিভারপুল বাংলা প্রেসক্লাব দীর্ঘদিন থেকে কাজ করে যাচ্ছে।সভায় উপস্থিত সবাইকে লিভারপুল বাংলা প্রেসক্লাবের ভবিষ্যত কার্যক্রমে অতীতের ন্যায় সর্বাত্রক সহযোগীতার আহ্বান জানানো হয়।

সভায় বাহান্ন’র ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনায় প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনার এডভোকেট এ,কে এম, সফি আহমদ সলমান। প্রধান বক্তা তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রবাসে বসবাসরত বাঙালীরা যে ভাবে নিজের মাতৃভাষাকে টিকিয়ে রাখতে শত ব্যস্ততার মাঝে কাজ করে যাচ্ছেন তা প্রশংসার দাবী রাখে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম বিশেষকরে প্রবাসে যাঁদের জন্ম ও বেড়ে উঠা তাঁদেরকে বাংলা ভাষা এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞান দান করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। বিশেষ করে কমিউনিটিতে বাংলা শিক্ষা বিস্তারের জন্য সবার সম্মিলিত চেষ্টায় বাংলা স্কুল গড়ে তোলার আহ্বান জানান। বাচ্চাদেরকে বাংলা ভাষা শিখতে ও অনুপ্রাণিত করতে মাতা-পিতার ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বলেন,অন্তত সবার ঘরে বাচ্চাদের সাথে বাংলায় কথা বলা অত্যন্ত জরুরী।এটা চর্চা করতে পারলে বাচ্চারা সহজে বাংলা ভাষা রপ্ত করতে পারবে। আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখতে হলে প্রতিটি শহরের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে দল ও মতের ঊর্ধ্বে উঠে সম্মিলিত ভাবে কাজ করতে হবে। ভাষা,সংস্কৃতি ও দেশকে পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে বাঁচিয়ে রাখতে সবাইকে আরো বেশি যত্নবান হতে হবে। নতুবা পরবর্তী প্রজন্ম তাঁর শেঁকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।এছাড়া সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কবি সবুর হোসেন রফিক, মোহাম্মদ আজাদ,সৈয়দ বেলাল ঊদ্দিন আহমদ, আবুল হাসেম ভুঁইয়া কামাল, আব্দুল হক, মাহবুব হোসেন ইমন প্রমুখ। সভায় লিভারপুল,মার্সিসাইডের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement