ব্রিটবাংলা রিপোর্ট : কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনিতে সোমবার শেষ হয়েছে নটিংহিল কার্নিভাল ফ্যাস্টিভ্যাল। শেষ দিনে বর্ণিল সাজে সজ্জিত হয়ে কয়েক হাজার মানুষ র্যালিতে অংশ নেন। প্রায় ৩ দশমিক ৫ মাইল লম্বা ছিল র্যালি। র্যালি ছাড়াও নেচে, গেয়ে প্রায় ৩০ ডিগ্রী তাপমাত্রার ব্যাঙ্ক হলিডে উপভোগ করেন প্রায় ১ মিলিয়নের বেশি মানুষ। শেষ দিনও বিকেল ৩টার দিকে ১ মিনিট নিরবতা পালন করে গ্রেনফেল ট্রাজিডিতে হতাহতদের স্মরণ করা হয়। দুদিনে প্রায় দেড়শ জনকে বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে রোববার শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে লন্ডনে ৫১তম নটিংহীল কার্নিভালের উদ্বোধন করে গ্রেনফেল টাওয়ারের অগ্নিকান্ডে হতাহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের স্বরণ করা হয়। একই সঙ্গে হতাহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিবরতা পালন করা হয়। গত জুনে ওয়েস্ট লন্ডনের কেনসিংটন এবং চেলসি বারার গ্রেনফেল টাওয়ারের অগ্নিকান্ডে ৮০ জনের মৃত্যু হয়।
দু’দিনব্যাপি নটিংহিল কার্নিভালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে লন্ডন মেয়র সাদিক খান, কেনসিংটনের স্থানীয় এমপি এমা ড্যান্ট কোড, কেনসিংটন এন্ড চেলসি বারার লিডার কাউন্সিলর এলিজাবেথ ক্যাম্পেবেল এবং গ্রেনফেল টাওয়ারের অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা অংশ নেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন ধর্মীয় লিডারদের উপস্থিতিতে হয় বিশেষ প্রার্থনা।
অন্যদিকে উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে রংখেলাসহ বিভিন্নভাবে আনন্দে মেতে উঠেন সাধারণ মানুষ। কার্নিভালের উদ্বোধনী দিনে সবাই গ্রিন কালারের কাপড় পরে আসেন। অর্থাৎ গ্রিন ফর গ্রেনফেল। স্থানীয় এমপি ড্যান্ট কোড নিজেও গ্রিন কালারের স্কার্ফ পরেন। লন্ডন মেয়র সাদিক খান ডার্ক গ্রিন কালারের টি শার্ট পরে সেখানে গিয়েছিলেন। এ সময় মেয়র সাদিক খান জানান, গ্রেনফেল ট্রাজেডির পর অনুষ্ঠিত কার্নিভাল থেকে কেনসিংটন এবং চেলসির কমিউনিটির প্রতি দ্বিগুন সমর্থন থাকবে মেয়র অফিসের। একই সঙ্গে বিচার নিশ্চিতের পাশাপাশি গ্রেনফেল টাওয়ারের অগ্নিকান্ডের রহস্য উদঘাটন এবং আগামীতে এ ধরনের ঘটনা যাতে লন্ডনে আর কোথাও না ঘটে সে ব্যাপারে নিশ্চিয়তার ঘোষণা দেন তিনি। কার্নিভালের উদ্বোধনী র্যালিটি গ্রেনফেল টাওয়ারের নীচে আসার সঙ্গে সঙ্গে র্যালির মিউজিকের সুর নমনীয় হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ধীর গতিতে হেঁটে গ্রেনফেল টাওয়ার অতিক্রম করেন র্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা। বিকেল ৩টার দিকে কার্নিভালের পক্ষ থেকে ১ মিনিট নিরবতা পালন করে হতাহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। সোমবারও একই সময়ে নিরবতা পালন করা হয়। কার্নিভালে অংশ নেওয়া সাধারণ মানুষ দুদিনেই স্থানীয় ফায়ার সার্বিস স্টেশনে গিয়ে ফায়ার ফাইটারদের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা জানিয়ে আসেন। জীবনবাজি রেখে ফায়ার ফাইটাররা গ্রেনফেল টাওয়ার থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষার চেষ্টা করেছেন। এছাড়া টাওয়ারের আশে পাশে পোস্টার লাগিয়ে কোনো ধরনের ফটো না তুলতে ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
Million people enjoy Notting Hill Carnival
More than a million people danced their way through the streets of Notting Hill in record temperatures for Europe’s biggest street festival.
Crowds flocked to west London for festivities including parades and live music on what was officially the hottest August Bank Holiday Monday on record.
Colourfully-dressed performers danced through the streets of Notting Hill, Westbourne Park and Ladbroke Grove along the 3.5 mile parade route.
Crews at North Kensington fire station, in the heart of the parade route in Ladbroke Grove, joined the occasion, where crowds erupted into applause and queued to thank them for their bravery.
Local MP Emma Dent Coad wiped away tears following the moment of reflection, which she observed outside the fire station.
The carnival route passed near to the estate and police formed a zone of quiet reflection around the site of the tragedy, while passersby were urged not to take selfies featuring the tower.
But the general mood was one of hope and love, with hundreds of brightly coloured performers picturing strutting through the streets of north west London.
Outfits of all kinds and colours were on display as a reported million people joined in the festivities over the entire weekend.
Security was tight throughout following recent atrocities and police warnings for people to be vigilant.
A heavy police presence again marked the tree-lined streets leading to the main parade route, including steel barriers, concrete blocks and weapons checks, which police said were in place to guard against the threat a of Barcelona-style terror incident, and potential acid attacks.
As of 3.30pm on Monday, some 149 arrests had been made – over a third of which, 61, were for drug offences, the Met said.
There were 17 public order arrests, and 15 arrests for possession of an offensive weapon, or knife/blade.