সপ্তাহে সাতদিন সকাল ৭ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ১৫ পাউন্ড কনজেশন : ক্ষোভ বাড়ছে সর্বত্র

ব্রিটবাংলা ডেস্ক : প্রায় দু মাস আগে বাড়ানো হয়েছে লন্ডনে কনজেশন চার্জ এবং এর সময়। ধীরে ধীরে এর নেতিবাচাক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে লন্ডনের সর্বত্র। লন্ডনের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে হসপিটালিটি খাত এবং ছোট ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মারাত্মকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে কনজেশন চার্জ এবং এর সময় বাড়ানোর ফলে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী সপ্তাহে সাতদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত লন্ডনে কনজেশনের সময় বাড়ানো হয়েছে। আর ফি করা হয়েছে ১৫ পাউন্ড।

https://britbangla24.com/news/107836/

কনজেশন চার্জ এবং সময় বাড়ানোর ফলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতেও মানুষের আসা-যাওয়া কমে গেছে। এর ফলে বড় একটি দানের পরিমানও কমে গেছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক উৎসের বড় একটি অংশ আসে দানশীলদের কাছ থেকে।

শুধু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেই নয়। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে লন্ডনের হসপিটালিটিখাতেও। সেন্ট্রাল লন্ডনের রেস্টুরেন্টগুলো অভিযোগ করছে, তাদের নিয়মিত কাস্টমাররা এসে কনজেশনের বিরুদ্ধেই বেশি কথা বলেন। এ কারণে নিয়মিত সিটিতে প্রবেশের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে তারা। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছে হসপিটালিটি খাত।

করোনার প্রভাবে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডনকে বেশ কিছু শর্ত সাপেক্ষে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে বেইল আউট করেছে সরকার। বেইল আউটের অনেকগুলো শর্তের মধ্যে একটি হল কনজেশন চার্জ এবং সময় বৃদ্ধি করা।

করোনার লকডাউনের সময় সিটির ভেতরে গাড়ি চলাচল মুক্ত রাখার ধারণা থেকেই মূলত কনজেশন চার্জ এবং সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে লন্ডনের বায়ূ এবং পরিবেশ দোষণমূক্ত রাখা সম্ভব হবে বলে ধারণা লন্ডন মেয়রের। কিন্তু এতে বড় বড় ব্যবসার পাশাপাশি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে লন্ডনের ছোট্ট এবং মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

তবে কনজেশন চার্জ এবং সময় বাড়ানোর জন্যে সরকারের বেইল আউটকে অজুহাত দেখালেও অনেকেই মনে করছেন,  লন্ডন মেয়র নিজ উদ্যোগেই শর্ত হিসেবে তা যুক্ত করেছেন। যদিও মেয়র সাদিক খান বলে আসছেন, সাময়িক সময়ের জন্য এই পরিবর্তন করা হয়েছে কিন্তু কবে নাগাদ এর ইতি ঘটবে তার কোথায়ও নেই। তাই এ নিয়ে লন্ডনের মিনিক্যাব ড্রাইভার, মিনিক্যাবের যাত্রী, সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের মনে ক্ষোভের জন্ম নিয়েছে। আগামী লন্ডন মেয়র নির্বাচনে এই ক্ষোভের আগুনের আঁচ অনুভব করতে পারবেন লন্ডন মেয়র সাদিক খান।

Advertisement