সব কিছুরই একটা সীমা থাকা দরকার : প্রধান বিচারপতি

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর শুনানিতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের আচরণে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেছেন, আপনারা আদালতের ওপর চাপ দিচ্ছেন। এভাবে হলে আদালত চালাতে পারবো না। আমরা মামলাই শুনবো না। তিনি বলেন, বাড়াবাড়ির একটা সীমা আছে। সব কিছুরই একটা সীমা থাকা দরকার।

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত এক নম্বর বেঞ্চে দফায় দফায় হৈচৈ, হট্টগোল করা এবং শ্লোগান দেওয়ার কারণে এ মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, আমার বিচারিক জীবনে এমন ঘটনা দেখিনি। যেভাবে বাড়াবাড়ি হয়েছে তা নজীরবিহীন। আদালতের পরিবেশ নষ্ট (সিন ক্রিয়েট) করবেন না। আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি। আদেশ সুপ্রিম কোর্টে ওয়েবসাইটে উঠে গেছে। এখন কোনো বিচারকই আর শুনবেন না।

একপর্যায়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে খালেদা জিয়া রাজার হালে আছেন। আজ শুনানির আগে প্রধানমন্ত্রীর এটা বলা কি বিচার বিভাগের ওপর চাপ নয়? জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘কে কি বলল তা দিয়েতো বিচার করবো না। আমরা কাগজ দেখে বিচার করবো’।

এসময় জয়নুল আবেদীন বলেন, আমরাও তাই চাচ্ছি। আপনি আমাদের কথা শুনুন। তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনার বিরুদ্ধে কয়টা মামলা। কোথা থেকে জামিন নিয়েছেন? জবাবে জয়নুল আবেদীন বলেন, অনেকগুলো মামলা। আপনাদের কাছ থেকে জামিন নিয়েছি। একথা শোনার পর প্রধান বিচারপতি হেসে বলেন, এইতো। এখন আবার শক্তি দেখাচ্ছেন। আমরা আদেশ দিয়েছি। নতুন করে আর শুনবো না। এরপর অন্য মামলার শুনানি শুরু হয়।

Advertisement