ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: নিখোঁজ হওয়ার ৭ সপ্তাহ পর ফটো সাংবাদিক ও ‘দৈনিক পক্ষকাল’ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলতে বেনাপোল বন্দর থানার সাদিপুর সীমান্ত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের অভিযোগে বিজিবি তাকে আটক দেখিয়ে রবিবার সকালে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। শনিবার রাতে বিজিবি সদস্যরা বেনাপোল থেকে তাকে উদ্ধার করে।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মামুন খান জানান, সাংবাদিক কাজলকে রঘুনাথপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা উদ্ধার করেছে। অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের অভিযোগে তাকে আটক দেখিয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে কীভাবে তাকে পাওয়া গেল এ বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি। বেনাপোলের রঘুনাথপুর বিজিবি ক্যাম্প তাকে বন্দর থানায় সোপর্দ করেছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি কমান্ডার সুবেদার আশেক আলী। তিনি জানান, বেনাপোলের সাদিপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে প্রবেশের সময় সাংবাদিক কাজলকে আটক করা হয়। তাকে আমাদের হেফাজত থেকে পুলিশের কাছে হন্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে কাজলের সন্ধান পাওয়ার বিষয়ে তার স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসি নয়ন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ফোনে কাজলের সঙ্গে কথা হয়েছে। বেনাপোল থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। খবর পেয়ে রাতেই স্বজনরা তাকে নিতে বেনাপোলের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন।
প্রসঙ্গত, ফটো সাংবাদিক ও ‘দৈনিক পক্ষকাল’ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজল ১০ মার্চ সন্ধ্যায় ‘পক্ষকাল’ অফিস থেকে বের হন। এরপর থেকে তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিন ১১ মার্চ চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসি নয়ন। ১৩ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে শফিকুল ইসলাম কাজলকে সুস্থ অবস্থায় ফেরত দেওয়ার দাবি জানায় পরিবার। ১৮ মার্চ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে সাংবাদিক কাজলের সন্ধান চাওয়া হয়। ১৮ মার্চ রাতে কাজলকে অপহরণ করা হয়েছে অভিযোগ এনে চকবাজার থানায় মামলা করেন তার ছেলে মনোরম পলক। সাংবাদিক কাজল নিখোঁজ হওয়ার পর তার সন্ধানের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কয়েকদফা কর্মসূচি পালন করেছেন সাংবাদিক সহকর্মী ও পরিবারের সদস্যরা।
নিখোঁজের একমাস পর ৯ এপ্রিল সাংবাদিক কাজলের ফোন নম্বরটি বেনাপোলেই চালু হয়েছিল। তখন কাজল নিখোঁজের বিষয়টির তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার এসআই মুন্সী আবদুল লোকমান গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘নিখোঁজ সাংবাদিক কাজলের ফোন নম্বরটি চালু হয়েছিল। লোকেশন দেখিয়েছে বেনাপোল। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে ও নম্বরটি চালু থাকার সময় কম হওয়ায় বেনাপোলে অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি।’