সাংবাদিক শিরিন হত্যার তদন্ত করবে না ইসরায়েল

সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহের আলোচিত হত্যাকাণ্ডের তদন্তের কোনো পরিকল্পনা নেই মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদিবাদী দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) ইসরায়েলি মিডিয়াগুলো চাঞ্চল্যকর এমন তথ্য জানিয়েছে।তেল আবিবভিত্তিক গণমাধ্যম হারেৎজ প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে জানিয়েছে, ইসরায়েলের সামরিক পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মনে করে, ইসরায়েলের সৈন্যদের সন্দেহভাজন হিসেবে ধরে কোনো একটি তদন্ত হলে ইসরায়েলের সমাজের তা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করবে।ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে গেল ১১ মে অভিযান চালায় দেশটির সেনা সদস্যরা। খবর সংগ্রহের জন্য সেখানে ছিলেন ৫১ বছর বয়সী শিরিন আবু আকলেহ। প্রত্যক্ষদর্শী ও তার সহকর্মীদের অভিযোগ, ইসরায়েলের এক সৈন্য মাথায় গুলি করলে শিরিন আবু আকলেহ ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।সাংবাদিক শিরিনের স্বজনরা ইসরায়েলের দখলদার বাহিনীর এমন নৃশংসতায় হতবাক। যদিও শিরিনের হত্যাকাণ্ড নিয়ে ইসরায়েল তদন্ত করবে না শোনার পর শিরিনের পরিবার এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সদস্যর শিরিন হত্যাকাণ্ড তদন্ত না করার খবর তাদের অবাক করেনি।শিরিনের পরিবার বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে, ইসরায়েলের দিক থেকে এমন খবর প্রত্যাশিত। এ জন্যই আমরা চাইনি ইসরায়েল শিরিন হত্যাকাণ্ড তদন্তের অংশ হোক। আমরা চাই এর জন্য যারা দায়ী তাদের জবাবদিহি ও বিচারের আওতায় আনা হোক।বিশ্লেষকদের মতে, শিরিনের হত্যাকাণ্ড গোটা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এমনকি তার কফিন বহন করা ফিলিস্তিনিদের ওপরেই আক্রমণ চালায় ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিশ্ববাসী। ইসরায়েলের এমন হিংস্র আচরণের কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় বিভিন্ন দেশের প্রধানরা। দ্রুত ঘটনার তদন্ত করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা।উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে জেরুজালেমে জন্মগ্রহণ করেন এই খ্যাতিমান সাংবাদিক। তিনি ছিলেন একজন খ্রিস্টান ও মার্কিন নাগরিক। জর্ডানের ইয়ারমুক ইউনিভার্সিটিতে সাংবাদিকতায় যাওয়ার আগে প্রাথমিকভাবে আর্কিটেকচারে পড়াশোনা করেন।স্নাতক সম্পন্ন করে তিনি ফিলিস্তিনে ফিরে আসেন এবং কিছু গণমাধ্যমে কাজ করেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার যাত্রা শুরুর এক বছর পর তিনি এর সঙ্গে যুক্ত হন।সূত্র : আল-জাজিরা

Advertisement