প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমান, এমপি, ৩ জুন ওয়াশিংটন, ডিসির হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রিন্সিপাল ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার জন ফাইনারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।মার্কিন প্রেসিডেন্টের সহকারী ফাইনার বাইডেন প্রশাসনের একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা। বৈঠকে তিনি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অসাধারণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেন এবং এগারো লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেন। তিনি গভর্নেন্স, শ্রম এবং মানবাধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য তার প্রশাসনের আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে উপদেষ্টা সালমান রহমান এবং ফাইনার গত পাঁচ দশকে দুই দেশের মধ্যে গড়ে ওঠা দৃঢ় সর্ম্পকের কথা উল্লেখ করেন ।সালমান এফ. রহমান ফাইনারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও মানব উন্নয়নে চমকপ্রদ সাফল্য সম্পর্কে অবহিত করেন এবং এই অর্জনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মানবিক ও রাজনৈতিক সমর্থন দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদও জানান তিনি।মার্কিন সরকারের সঙ্গে কাজ করার অনুরূপ আগ্রহ প্রকাশ করার সময়, উপদেষ্টা সালমান রহমান বলেন যে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীর বাংলাদেশে শ্রম ও মানবাধিকারের ক্রমাগত উন্নতির জন্য ইতোমধ্যে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে যথাযথভাবে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।র্যাব এবং এর কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ওপর সাম্প্রতিক মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। এসময় সালমান এফ. রহমান যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে যত দ্রুত সম্ভব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেন। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীর বিষয়ে ফাইনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং তাকে দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে তাদের সহায়তা কামনা করেন।
