সিভিক এওয়ার্ড পেলেন, সাংবাদিক রেজাউল করিম মৃধা

করোনা মহামারীর সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিক মোঃ রেজাউল করিম মৃধাকে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল সিভিক এওয়ার্ড সম্মানে ভূষিত করে।Thursday, 24th February at 6.30pm at St. George’s Town Hall, 236 Cable Street, London E1 0BL এর টাউন হলে কাউন্সিল কর্তৃক এক অনারম্বর ও জমকালো অনুস্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই সিভিক এওয়ার্ড দেওয়া হয়।

এই এওয়ার্ড অনুস্ঠানে টাওয়ার হ্যামলেট্স এর নির্বাহী মেয়র জন, স্পীকার কাউন্সিলার আহবাব হোসেন, চীফ এক্সকিউটিভ উইল তাকলেই , জিএস এ মেম্বার উমেশ দিয়াই, লিড মেম্বার কাহার চৌধুরী, কাউন্সিলার আয়াস মিয়া, অন্যান্য কাউন্সিলার সহ আমন্ত্রীত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সিভিক এওয়ার্ড সবচেয়ে প্রেসটিজিয়াস অতি সম্মান জনক এওয়ার্ড। প্রতি বছর একটি নিরপেক্ষ বোর্ড এর মাধ্যমে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিকতা এবং চ্যারিটি কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ এই এওয়ার্ড মনোনয়ন করা হয়।বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মোট ১৮ জনকে টাওয়ার হ্যানলেট্স কাউন্সিল সিভিক এওয়ার্ড ২০২২ প্রদান করে। এর মধ্য সাংবাদিক ক্যাটাগরিতে একমাত্র মোঃ রেজাউল করিম মৃধা এই এওয়ার্ড পান।কভিড-১৯ করোনাভাইরাস মহামারির কারনে গত দুই বছর সিভিক এওয়ার্ড অনুস্ঠিত হয়নি সেজন্য এবছর বেশী সংখ্যক গুনি মানুষকে সিভিক এওয়ার্ডে ভুষিত করা হয়।মোঃ রেজাউল করিম মৃধা ২০১১ সালের মাঝামাঝি ইতালী থেকে স্বপরিবারে লন্ডনে আসেন এবং লন্ডনে এসে সাংবাদিক পেশায় কাজ করেন। বিলেতের বাংলা গণমাধ্যম জগতের অত্যন্ত সক্রিয় কর্মী। তিনি ‘চ্যানেল এস’ এর সিনিয়র ক্যামেরা পার্সন, বেতার বাংলার প্রেজেন্টার এবং ব্রিটবাংলার কমিউনিটি এডিটর। অনলাইনভিত্তিক এমএইচএস লন্ডন টিভিতে নিজস্ব অনুষ্ঠান ‘মৃধা শো’ উপস্থাপক ও পরিচালনা করছেন।

লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের নির্বাচত ইভেন্ট অ্যান্ড ফ্যাসেলিটিজ সেক্রেটারী হিসেবে তিনি দক্ষতা ও সাফল্যের প্রমাণ দিয়েছেন। তিনি কেরাম ও দাবা প্রতিযোগিতা, মিডিয়া কাপ ফুটবল টূর্নামেন্ট, বনভোজন, বৈশাখী আড্ডা, একুশে আমাদের চেতনায়,২৬ মার্চ উদযাপন, প্রেস ফ্রিডম ডে উদযাপন সহ ক্লাবের সকল আয়োজনে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলছেন।মোঃ রেজাউল করিম মৃধা মানিকগন্জ জেলার, হরিরামপুর উপজেলার আজিম নগর ইউনিয়নের ইব্রাহিম পুর গ্রামে সম্ভ্রান্ত মৃধা পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। পিতা মৃত্যু হাজী বাছের মৃধা। ৬ ভাইবোনের মধ্যে ৫ম সন্তান। বর্তমানে স্বপরিবার লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে বসবাস করছেন।

ছাত্র জীবন থেকেই লেখালেখি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক হিসেবে সুনামের সাথে কাজ করে আসছেন।ঢাকা ইউনিভার্সিটির অধীনে ঢাকার সরকারি বাঙলা কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ‘দেয়াল’ পত্রিকা বের করেন। ছিলেন কলেজের বার্ষিক ম্যাগাজিনের সহ-সম্পাদক। ১৯৮৮ সালে বিএ পাশ করেন।১৯৮৯ সালে কর্মের তাড়নায় প্রবাসী হয়ে ফ্রান্স আসেন এবং ১৯৯০ সালে ইতালী প্রবাসী হন। লেখা লেখি করেছেন নিয়মিত। এছাড়া দিনকাল, চিত্রবাংলা ও সাপ্তাহিক ২০০০ এর ইতালী প্রতিনিধি ছিলেন। ছিলেন ইতালী থেকে প্রকাশিত দেশ-বিদেশ ও স্বদেশ-বিদেশ পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক।২০১১ সালে ইংল্যান্ডে এসে দেশ টিভি ,বাংলা টিভি এবং ২০১৪ থেকে চ্যানেল এস-এর সাথে নিউজে কাজ করে যাচ্ছেন।

কভিড-১৯ করোনাভাইরাস মহামারির সময় সাংবাদিক হিসেবে কার ভূমিকা এবং কার্যক্রম ছিলো প্রসংশনীয়। কভিডের প্রথম থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিদিন কভিড-১৯ করোনাভাইরাসের আপ ডেট দিয়ে আসছে। সাথে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য ডাক্তার সহ বিশেষজ্ঞগদের পরামর্শ, সাজেশন এবং করনীয় তুলে ধরেছেন।কভিড-১৯ করোনাভাইরাস মহামারির লকডাউনে যখন মানুষ ঘরবন্ধী তখন সংবাদের জন্য ছুঁটে বেড়িয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত রোগীর বাসায়, মৃত্য ব্যাক্তির পাশে কখনো হাসপাতালে, কখনো মর্গে, কখনো জানাজায় আবার কখনো কবর স্থানে শেষ বিদায় জানাতে ছুঁটে গিয়েছেন। জনসাধারনকে নিরাপদে থাকতে উৎসাহিত করেছেন।বিভিন্ন সংগঠনের সাথে বিভিন্ন কার্যক্রমে সহযেগিতা করা কখনো হোমলেস কিম্বা গৃহবন্ধি মানুষের পাশে এমন কি চ্যারিটি সংগঠন গুলির সাথে রাতদিন কাজ করে গিয়েছে।নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এই করোনাভাইরাস মহামারিতে কাজ করে গেছেন।এই সকল কাজের স্বীকৃতি হিসেবে আজ টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের পক্ষ থেকা তাকে সব চেয়ে সম্মান জনক সিভিক এওয়ার্ড ২০২২ তুলে দেওয়া হয়।

Advertisement