সিলেট বিভাগে উৎসবমুখর পরিবেশে গণটিকাদান, লক্ষমাত্রা ৭ লাখ মানুষ

আজ সারা দেশে এক কোটি মানুষকে করোনা প্রতিরোধক টিকার প্রথম ডোজ প্রদান কর্মসুচীর আওতায় সিলেট বিভাগে উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে গণটিকাদান কর্মসুচী।সিলেট নগরীসহ বিভাগের চার জেলায় অন্তত: ৭ লাখ মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার লক্ষমাত্রা নিয়ে চলছে টিকাদান একার্যক্রম।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিভাগীয় কার্যালয় এতথ্য নিশ্চিত করেছে। তাদের তথ্যমতে এটি সফল হলে করোনা প্রতিরোধক প্রথম ডোজের টিকার টার্গেট প্রায় পুরণ হবে। এই কর্মসুচীর আওতায় শনিবার সকাল ৯টা থেকে দিনভর চলে পুরো সিলেট বিভাগে গণটিকাদান কার্যক্রম। এই কার্যক্রমের আওতায় শনিবার সকাল থেকেই সিলেট বিভাগে টিকাদান শুরুর আগ থেকেই কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করাযায়।এ কর্মসুচীর আওতায় প্রতিটি ইউনিয়নে ৩-৫ শ মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। আজ শনিবার সিলেটে পূর্বঘোষিত প্রতিটি স্থায়ী-অস্থায়ী কেন্দ্রে টিকাদানের পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিভাগীয় কার্যালয়ের তত্বাবধানে সিভিল সার্জন কার্যালয়গুলোর সহায়তায় পুরো বিভাগে ৪০টি ভ্রাম্যমাণ টিমও মাঠে কাজ করছে। এই টিমগুলো ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন স্থানে ভাসমান লোকজনকে টিকা প্রদান করেন।এদিকে, আজ শনিবার সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডের প্রতিটি কেন্দ্রে ‘জনসন এন্ড জনসন’র টিকা দেয়া হচ্ছে। সিসিকের ২৭টি ওয়ার্ডের ৯৬টি কেন্দ্রে সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয়েছে টিকাদান। এপর্যন্ত এ কার্যক্রম বিরামহীনভাবে চলছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।সিসিক জানায়, যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি সেসব নাগরিকগণ জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা জন্ম নিবন্ধনপত্র নিয়ে কেন্দ্রে এসে টিকা গ্রহণ করতে পেরেছেন। পাশাপাশি যাদের এর কোনটিই নেই তারাও টিকা কেন্দ্রে এসে টিকা গ্রহণ করতে পেরেছেন।

এদিকে, সিলেট নগরী ও শহরতলিতে ভাসমান মানুষের জন্য গত ৫ দিনব্যাপী বিশেষ টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়। ৩-৫ টি টিমের মাধ্যমে পরিচালিত এ কার্যক্রমের শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ছিলো শেষ দিন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় এ কার্যক্রম। ২১-২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই ৪ দিনে সিলেট নগরী ও শহরতলির ১৬শ ছিন্নমূল বা ভাসমান মানুষকে দেওয়া হয়েছে ‘জনসন এন্ড জনসন’ টিকা।বৃহস্পতিবার বেদে সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে চলে ভ্রাম্যমাণ টিমগুলোর টিকাদান কার্যক্রম। উল্লেখ্য, ‘জনসন এন্ড জনসন’ কোভিড টিকা এক ডোজই যথাযথ সুরক্ষা প্রদান করে। এই টিকা গ্রহণকারীদের ২য় বার টিকা গ্রহণ করতে হবে না। এই ভ্যাকসিন সিঙ্গেল ডোজ হিসেবেই প্রস্তুত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, আজ শনিবারের মধ্যে টিকার প্রথম ডোজ দিয়ে শেষ করতে সরকারের নির্দেশনা রয়েছে। এর জন্য শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধের দিনও সিলেটে চলছে টিকাদান কার্যক্রম। আজ শনিবার পুরো বিভাগের ৪জেলায় ৭ লাখ মানুষকে এ টিকা প্রদানের প্রস্ততি নিয়ে আমাদের কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালিত হয়েছে,এতে কোথাও কোন সমস্যা হয়নি বলে তিনি জানান। এ কর্মসুচীতে লক্ষ্যমাত্রা পুরনের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। তিনি ‘বাসস’কে জানান আজকের পরেও সিলেট বিভাগে বিভিন্ন এলাকায় সার্চ করে দেখা হবে যে, যদি কোন কারনে কেহ করোনার প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণ করতে পারেন নাই তাদেরকেও বিশেষ ব্যাবস্থায় টিকা প্রদানের মাধ্যমে শতভাগ টিকা প্রদান কর্মসুচী নিশ্চিত করা হবে।

Advertisement