সুদের হার নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলার কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ক্রেডিট কার্ড ছাড়া অন্য সব খাতে ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলার কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে অর্থ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ তিনজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

এর আগে গতকাল ক্রেডিট কার্ড ছাড়া অন্য সব খাতে ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট আবেদনটি শুনানির এখতিয়ার নেই উল্লেখ করে হাইকোর্টের বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তা কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। এর আগে রোববার ক্রেডিট কার্ড ছাড়া অন্য সব খাতে ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হলে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনটি শুনানির জন্য সোমবার দিন ধার্য করেন। রিটে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া ব্যাংকের সব ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশ আগামী ১লা এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে- বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা এ সংক্রান্ত সার্কুলারের স্থগিত চাওয়া হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এক শিক্ষানবিশ আইনজীবীর পক্ষে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ রিট দায়ের করেন।

গত ২৪শে ফেব্রুয়ারি ক্রেডিট কার্ড ছাড়া ব্যাংকের সব ঋণের সুদ হার ৯ শতাংশ আগামী ১লা এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে- এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমানে ব্যাংক ভেদে উৎপাদন খাতে সুদ হার ১১ থেকে ১৪ শতাংশ। ভোক্তা ও এসএমই ঋণের সুদহার আরো বেশি। রিটে অর্থ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ তিনজনকে বিবাদী করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বর্তমানে ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদ হার দেশের ক্ষুদ্র মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পসহ ব্যবসা ও সেবা খাতের বিকাশে প্রধান অন্তরায় হিসেবে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংক ঋণের সুদ উচ্চ মাত্রার হলে সংশ্লিষ্ট শিল্প, ব্যবসা ও সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানসমূহের উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। এসব প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। ফলে শিল্প, ব্যবসা ও সেবা প্রতিষ্ঠানসমূহ কখনো কখনো প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। এ কারণে সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতারা যথাসময়ে ব্যাংক ঋণ পরিশোধে করতে পারেন না। এতে ব্যাংক খাতে ঋণ শৃঙ্খলা বিঘিœত হয় এবং সার্বিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।

Advertisement