সুশান্তের মৃত্যুর পরে অ্যাম্বুলেন্স চালককে কেন ফোন দিয়েছিলেন সন্দ্বীপ

ব্রিট বাংলা ডেস্ক : সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মামলায় প্রশ্নের মুখে প্রয়াত অভিনেতার বন্ধু সন্দীপ সিংয়ের ভূমিকা। ১৪ জুন সুশান্তের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসবার পরেই দৌড়ে গিয়েছিলেন সন্দীপ। সুশান্তের মৃত্যুর পর সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন সন্দীপ সিং। বাড়ি থেকে হাসপাতাল, সেখান থেকে ভিলে পার্লে মহাশ্মশান-সব জায়গাতেই সুশান্তের দেহ নিয়ে পৌঁছেছিলেন সন্দীপ। হাসপাতালের বাইরে সুশান্তের শোকস্তব্ধ দিদি মীতু সিংকে সান্ত্বনা দিতেও দেখা গিয়েছিল সন্দীপকে। অথচ সন্দীপ সিংকে চেনে না সুশান্তের পরিবার, তেমনই দাবি করা হয়েছে তাঁদের তরফে।

সুশান্তের মৃত্যুর পর বহু সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাত্কার দিয়ে বলিউডের প্রযোজক,পরিচালকদের নিরপরাধ বলে জানিয়ে, সন্দীপ বলেছিলেন সুশান্তের হাতে কাজের অভাব ছিল না। এবং সুশান্তের সঙ্গে তাঁরও একটি ছবি করবার পরিকল্পনা ছিল। সন্দীপ নিজেও জানান শেষ এক বছরে সুশান্তের সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগ ছিল না তাঁর।

মঙ্গলবার রিপাবলিক টিভির পক্ষ থেকে ফাঁস করা হয় সন্দীপের কল ডিটেলস রেকর্ড, সেখানে স্পষ্টই দেখা যায় সেপ্টেম্বর মাস থেকে ১৪ জুন সুশান্তের মৃত্যুর আগে পর্যন্ত সুশান্তের সঙ্গে ফোনে বা মেসেজে কোনওরকম যোগাযোগ ছিল না তাঁর। উপরোন্তু সুশান্তের মৃত্যুর দু-দিন পরেও অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারের সঙ্গে ফোনে কথা হয় সন্দীপের।

১৬ জুন সুশান্তের শেষকৃত্যের পরের দিন অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারকে ফোন করেছিলেন সন্দীপ। প্রশ্ন উঠছে কী কারণে? ১৪ জুন তিন বার এবং ১৬ জুন একবার অ্যাম্বুলেন্স চালকের সঙ্গে কথা হয় সন্দীপের। অথচ রিপাবলিক টিভিকে সেই অ্যাম্বুলেন্স চালক জানায়, সন্দীপ সিং বলে কাউকে চেনে না সে। মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে সুশান্তের লাশ নিয়ে যাওয়া-আসার ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল।

যে বন্ধুকে গত ১০ মাসে একবারও ফোন করেননি সন্দীপ,তাঁকে কীভাবে নিজের কাছের বন্ধু বলে দাবি করছেন তিনি? কার অনুমতি নিয়েই বা সেদিন সুশান্তের পোস্টমর্টেম বা শেষকৃত্যের সব দায়িত্ব তিনি নিয়েছিলেন? এই সব প্রশ্নের মুখে প্রযোজক সন্দীপ সিং। শত চেষ্টা সত্ত্বেও সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হননি সন্দীপ।

কিন্তু তাঁর ম্যানেজার দীপক সাহু টুইট বার্তায় জানান, সেইদিন সন্দীপের ফোন সামলাচ্ছিলেন তিনি নিজে। টুইটারে লেখেন, ‘সন্দীপ সিং সুশান্তের বোন মীতু সিংয়ে সমস্ত ফর্ম্যালিটি পূরণ করতে সাহায্য করছিল মাত্র, এটা কোনও রকেট সায়েন্স নয়,যে কেউ বুঝবে যে উনার নম্বরটা অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারকে দেওয়া হয়েছিল মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে।

Advertisement