সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ছে ইংল্যান্ডে ফারলোর মেয়াদ : দেখে নিন কি কি সুবিধা আসছে বাজেটে

ব্রিটবাংলা ডেস্ক : লকডাউন সমাপ্তির পর নতুন করে শুরু করার জন্যে ইংল্যান্ডের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সাধারণ মানুষের জন্যে চ্যান্সেলার ঋষি সোনাক বাজেটে আরো সুবিধা নিয়ে আসছেন। তবে লকডাউন শেষে সর্বত্র স্বাভাবিকতা ফিরে আসলে অর্থনীতিতে লাগাম টেনে ধরার কথাও বলেছেন তিনি।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা এবং চাকুরী রক্ষার জন্যে নতুন অর্থ বছরের বাজেটে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিবেন চ্যান্সেলার ঋষি সোনাক। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে পার্লমেন্টে বাজেট ঘোষণা করবেন তিনি। বাজেটে ফারলো স্কীম সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহাল রাখা হবে বলে জানিয়েছে চ্যান্সেলারের অফিস। জব রিটেনশন স্কীমের অধিনে বর্তমানে প্রায় ৪ মিলিয়নের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ফারলো দিয়ে যাচ্ছে সরকার। তবে জুলাই থেকে ১০ শতাংশ, অগাষ্ট থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২০ শতাংশ কন্ট্রিবিউট করার জন্যে চাকুরীদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আহ্বান জানাবে সরকার। এছাড়া বাজেটে প্রায় ৬ লাখের বেশি সেল্ফ এমপ্লয়েডের জন্যে গ্র্যান্টের সুবিধা বাড়ানোর ঘোষণাও দিবেন চ্যান্সেলার। বাজেটে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নি¤œ আয়ের পরিবারকে সহযোগিতার জন্যে আগামী ৬ মাস ইউনিভার্সেল ক্রেডিটে সপ্তাহে ২০ পাউন্ড বেশি পরিশোধের ঘোষণাও দিবেন চ্যান্সেলার। এছাড়াও বাজেটে ইংল্যান্ডের মিউজিয়াম, যাদুঘর এব্য গ্যালারির জন্যে ৪০৮ মিলিয়ন পাউন্ড এবং হাইস্ট্রীট ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার জন্যে আরো ৫ বিলিয়ন পাউন্ড গ্র্যান্টের ঘোষণা দিবেন চ্যান্সেলার ঋষি সোনাক। গ্রীস্মকালিন খেলাধুলায় প্রাণ ফিরিয়ে আনার জন্যে বিশেষ করে ইংলিশ ক্রিকেটকে সহযোগিতার জন্যে ৩শ মিলিয়ন পাউন্ডের একটি প্যাকেজও ঘোষণা দিবেন তিনি।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর গত বছরের ১১ মার্চ চ্যান্সেলারের প্রথম বাজেটে করোনার রেসপন্স হিসেবে ১২ দশমিক ৫ বিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ করেছিলেন। এরমধ্যে পাবলিক সার্ভিসখাতে ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন পাউন্ড, ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার জন্যে ৫ বিলিয়ন এবং ওয়েলফেয়ারখাতের জন্যে ২ বিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ দেন। ৮ জুলাইয়ে গ্রীস্মকালীন বাজেট আপটেডে আরো ১০ বিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ দেন চাকুরী, স্ট্যাম্প ডিউটি এবং ইটআউট টু হেল্প আউট বাবদ। আর অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ দেন পাবলিক সার্ভিসখাতের জন্যে। ২৪ শে সেপ্টেম্বর ২১৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ডের শীতকালিন অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। ২৫শে নভেম্বর স্পেন্ডিং রিভিউতে সর্বমোট ২শ ৮০ বিলিয়ন পাউন্ডের করোনা বিলের হিসেব দেন চ্যান্সেলার। এরমধ্যে পাবলিক সার্ভিসখাতে ১শ ২৭ দশমিক ১ বিলিয়ন পাউন্ড, এমপ্লয়মেন্ট সাপোর্টবাবদ ৭৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন পাউন্ড, বিসনেস সাপোর্টবাবদ ৩৯ বিলিয়ন পাউন্ড এবং লোন ও গ্যারান্টিবাবদ ৩১ বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করেন ২০২০ সালে।
উল্লেখ্য ইংল্যান্ডে বর্তমানে তৃতীয় দফায় লকডাউন চলছে। আগামী ৮ মার্চ থেকে ধাপে ধাপে লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। জুন মাসে গিয়ে পুরোপুরি লকডাউন আইন প্রত্যাহারের আশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

 

Advertisement