হত্যার ৫ দিন আগেই কন্টাক্ট পায় কিলার মাসুম

রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী প্রীতি হত্যার ঘটনায় জড়িত একমাত্র শুটার মাসুম ওরফে মো. আকাশকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগ। হত্যার ৫ দিন আগেই এই খুনের কন্টাক্ট পায় মাসুম।রোববার দুপুরে হত্যার বিষয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এসব তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।ডিবি প্রধান বলেন, আসামি সুঠাম দেহের অধিকারী । খুনের পর জয়পুরহাটে চলে যায়। সে সীমান্ত পার হয়ে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪টি হত্যা মামলার রয়েছে বলেও জানান তিনি।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার মাসুমের বাবা একজন শিক্ষক।কতো টাকার বিনিময়ে টিপুকে খুন করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে একজন কন্টাক্ট কিলার। তবে কতো টাকার বিনিময়ে টিপুকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে এখনো জানা যায়নি। শুধু টাকা নয় এর সাথে আরও কিছু জড়িয়ে আছে।

শিক্ষার্থী প্রীতিকে কেন খুন করা হয়েছিল জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, গ্রেপ্তারকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, প্রীতিকে খুন করার উদ্দেশ্য কিলারের ছিল না। সে ট্রিগার টিপে রেখে এলোপাতারি গুলি চালায়। পরে জানতে পারে একজন রিকশার যাত্রী মারা যায় তার গুলিতে।হাফিজ আক্তার বলেন, গ্রেপ্তার মাসুমকে রিমান্ডে নিয়ে জিগাসাবাদ করা হবে। যেহেতু নিহত টিপু একজন রাজনৈতিক ব্যাক্তি, সে হিসেবে ঘটনার পুরো তদন্ত করা হয়েছে।উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে জাহিদুল মাইক্রোবাসে করে শাহজাহানপুর আমতলা কাঁচাবাজার হয়ে বাসায় ফিরছিলেন। শাহজাহানপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে হেলমেট পরা দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে জাহিদুল ও তার গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় জাহিদুলের গাড়ির পাশ দিয়ে রিকশায় যাচ্ছিলেন বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী প্রীতি। তিনিও গুলিবিদ্ধ হন। তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদুল ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন। গুলিবিদ্ধ গাড়িচালক মুন্না বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।এ ঘটনায় শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুরে নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৮।

Advertisement