ব্রিটবাংলা ডেস্ক : ব্রেক্সিট বিল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরিজা মে। ব্রেক্সিট নিয়ে নিজের ক্যাবিনেটে মতানৈক্যের পাশাপাশি মঙ্গলবার হাউস অব লর্ডসে তিনবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ব্রেক্সিট বিলের সংশোধনী প্রস্তাব।
ইইউ থেকে বের হবার জন্যে তৈরি ব্রেক্সিট বিলের তিনটি সংশোধনী প্রস্তাবে মঙ্গলবার পৃথক তিনটি ভোটাভুটি হয় লর্ড সভায়। তিনটিতেই প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের বিপক্ষে রায় দিয়েছেন লর্ড সভার সদস্যরা। আর এ নিয়ে সর্বমোট ১৩বার হাউস অব লর্ডসে ভোটাভুটিতে প্রত্যাখ্যাত হল এই বিল।
সিঙ্গেল মার্কেটে থাকা না থাকার প্রশ্নে ব্রেক্সিট বিলের একটি সংশোধনী প্রস্তাবে ২৪৫ জন লর্ড সদস্য ব্রিটেনকে সিঙ্গেল মার্কেটে রাখার পক্ষে ভোট দেন। আর ২১৮জন ভোট দেন সরকারের পক্ষে। ২৭টি ভোট বেশি পড়ে সরকারের প্রস্তাবের বিপক্ষে। ব্রেক্সিটের পরে সিঙ্গেল মার্কেট ত্যাগের পক্ষে রয়েছে সরকার।
একই দিন ব্রেক্সিটের নির্ধারিত তারিখ পরিবর্তনের জন্য আরো একটি সংশোধনী বিলে ভোট হয় হাউস অব লর্ডসে। তাতেও সরকারের প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট পড়ে বেশি। বিলে ব্রেক্সিটের স্পেসিফিক ডেইট বা নির্ধারিত তারিখের প্রস্তাব দিয়েছে সরকার। সরকারের এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ৩১১ জন লর্ড সদস্য ভোট দিয়েছেন। আর সরকারের পক্ষে দেন ২৩৩ জন। ৭৮ ভোট বেশি পড়ে সরকারের প্রস্তাবের বিপক্ষে। এছাড়া ব্রেক্সিটের পরে ব্রিটেনে ইইউর এজেন্সিগুলোর জন্যে সুযোগ অব্যাহত রাখা হবে কি না, ব্রেক্সিট বিলের এমন একটি সংশোধনী প্রস্তাবের বিপক্ষে ২৯৮ জন লর্ড সদস্য ভোট দেন। সরকারের পক্ষে পড়ে ২২৭ ভোট।
এদিকে ইইউর সঙ্গে বানিজ্যিক সম্পর্ক ব্রেক্সিটের পরে কেমন হবে এ নিয়ে দ্বিমত বা মতানৈক্য আছে কেবিনেটেও। ফরেন সেক্রেটারী বরিস জনসন হার্ড ব্রেক্সিটের পক্ষে মত দিয়েছেন। তার মতে ইইউ থেকে যতো দ্রুত সম্ভব বের হয়ে নন-ইইউ দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করা উচিত। অন্যদিকে চ্যান্সেলার ফিলিপ হ্যামন্ডসহ কেবিনেটের অন্যান্য সদস্যরা সফট ব্রেক্সিটের মাধ্যমে ব্রেক্সিটের পরেও ইইউকে ব্রিটেনের ঘনিষ্ট বাণিজ্যিক পার্টনার হিসেবে রাখতে চান।
২০১৯ সালের ২৯শে মার্চ ব্রেক্সিটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ব্রেক্সিট বিলে। যদিও স্পেসিফিক বা নির্ধারিত তারিখের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন লর্ড সদস্যরা। কিন্তু সমালোচক বা বেক্সিট সমর্থকরা মনে করছেন নির্ধারিত তারিখ না থাকলে ব্রেক্সিট ইস্যুতে সরকার ঝুলে পড়বে। সময় নেবে ইচ্ছে অনুযায়ী। তবে ব্রেক্সিট বিলের সংশোধনী নিয়ে চুড়ান্ত ভোট দেবেন হাউস অব কমন্সের সদস্যরা। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ভোটের কাছে অনির্বাচিত লর্ড সদস্যদের ভোটের মূল্যায়ন কতোটা হয় সেটা দেখার জন্যে অপেক্ষা করতে হবে।
Theresa May suffered a hat-trick Brexit defeat on Tuesday as the House of Lords passed three amendments to the EU Withdrawal Bill.
The Government suffered a third defeat, and its 13th in total, as peers backed retaining key aspects of the single market by continued participation in the European Economic Area.
The vote – at 245 to 218, with a majority of 27 – came in defiance of both the Government and Opposition frontbenches.
Peers voted earlier in the day to remove a specific exit date from the Bill by a majority of 78, with 311 backing the motion and 233 opposing it.
They also backed the amendment to allow Britain’s continued participation in EU agencies by 298 votes to 227, a majority of 71.
Mrs May’s Cabinet is split between ministers, including foreign secretary Boris Johnson, who favour a clean-break “hard Brexit,” that would leave Britain freer to strike new trade deals around the world, and those including Treasury chief Philip Hammond who want to keep closely aligned to the EU, Britain’s biggest trading partner.
The two sides of the government remain at loggerheads almost two years after Britain voted to leave the EU and less than a year before it is officially planned to exit the bloc on March 29, 2019.
That has led May, who heads an unstable minority government, to put off taking a firm stand on key Brexit issues for as long as possible – to the frustration of EU leaders, who have warned repeatedly that time is running short to strike a deal.
Meanwhile, pro-EU British lawmakers have been nibbling away at the government’s flagship Brexit bill, which is currently going through Parliament, in hopes of softening the terms of departure.
On Tuesday the House of Lords, Parliament’s upper chamber, voted to amend the bill by removing the fixed departure date of March 29, 2019. Supporters said that would give the government more flexibility in negotiations.
Peers have made a dozen changes to the bill in all. It’s unclear whether they will survive a final vote in the House of Commons, which has the power to override the unelected Lords.