হোয়াইট হাউজের বিরুদ্ধে জন বল্টনের অভিযোগ

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: নিজের ব্যক্তিগত টুইটার একাউন্ট ফিরে পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টন। শুক্রবার ধারাবাহিক টুইটে তিনি এ কথা জানান দিয়ে অভিযোগ করেছেন, সেপ্টেম্বরে পদত্যাগ করার পর তার টুইটার একাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছিল হোয়াইট হাউজ। তবে তার এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এ খবর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের অনলাইন সংস্করণ।

পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে জন বল্টন ও ট্রাম্পের মধ্যে মাঝে মধ্যেই বিরোধী সৃষ্টি হচ্ছিল। এরই এক পর্যায়ে তিনি পদত্যাগ করেন। ট্রাম্পের অভিযোগ, প্রশাসনের অন্যদের সঙ্গে মিশতেন না বল্টন। নীতির বিষয়ে তিনি নিজের মতো পদক্ষেপ নিতেন।

তখন থেকেই বল্টনের কথাবার্তা ও কার্যক্রমের দিকে নিবিড় দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। বিশেষ করে প্রতিনিধি পরিষদ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিশংসনের জন্য যে তদন্ত করছে তার প্রেক্ষিতে বল্টনের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বল্টন তার অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। তিনি বলেছেন হোয়াইট হাউজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তিনি সাক্ষ্য দেবেন কিনা সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় বিচারকরা সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা না দিলে তিনি সাক্ষ্য দেবেন না। তবে তার আইনজীবী বলেছেন, অনেক মিটিং ও কথোপকথনের বিষয়ে অবহিত বল্টন। এসব মিটিং ও কথোপকথন হলো ইউক্রেনকে চাপ দেয়া সংক্রান্ত।

শুক্রবার এসব নিয়ে ধারাবাহিক টুইট দেয়া শুরু করেন জন বল্টন। তিনি বলেন, টুইটারে ফিরতে পেরে এবং তা ব্যবহার করতে পেরে তিনি খুশি। তৃতীয় টুইটে তিনি হোয়াইট হাউজকে দোষারোপ করেন। বলেন, হোয়াইট হাউজ তার একাউন্ট ফিরিয়ে দিচ্ছিল না। এই টুইটে তিনি লিখেছেন, ভয় পাচ্ছিল যে আমি কি না কি বলে দিই। যারা ভেবেছিলেন আমি আত্মগোপন করেছি, তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি এই হতাশাজনক কাজের জন্য।

এ নিয়ে টুইটার কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করে নি। তবে ফক্স নিউজে ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল জন বল্টনের টুইটার একাউন্ট কি হোয়াইট হাউজ জব্দ করেছিল কিনা। জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, অবশ্যই না। আসলে জন বল্টনের সঙ্গে আমার চমৎকার সম্পর্ক ছিল। কিছু বিষয়ে আমাদের মতপার্থক্য ছিল। তা ছাড়া আমাদের চমৎকার সম্পর্ক ছিল্ তার একাউন্ট বন্ধ করাই নি।

Advertisement