আর সেজন্যই সর্বশেষ সুইংস্টেটগুলোতে পিছিয়ে থেকেও জো বাইডেন বার বার দাবি তুলতে থাকেন ‘এভরি ভোট শুড বি কাউন্টেড’। অর্থাৎ প্রতিটি ভোট গণনা করতে হবে। ৩রা নভেম্বর নির্বাচনের পর তিনদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও যখন নির্বাচনের ফল পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা, উদ্বেগ দেখা দেয় চারদিকে। ফক্স নিউজের রিপোর্ট অনুযায়ী ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে জো বাইডেন ২৬৪ তে দাঁড়িয়ে। ট্রাম্প ২১৪। এখানে এসেই আকস্মিকভাবে থমকে দাঁড়ায় নির্বাচনের ফল। জো বাইডেনের প্রয়োজন আর মাত্র ৬টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট। ট্রাম্পের প্রয়োজন ৫৬ ভোট। এমন অবস্থা চলে দীর্ঘ সময়। এ সময় মূল যুদ্ধ শুরু হয় সুইংস্টেট নেভাদা, পেনসিলভ্যানিয়া, জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলাইনায়। নেভাদায় অল্প ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন বাইডেন। তবে সেখানে যে তিনি জিতবেন এমনটা নিশ্চিত ছিলনা। শুরু হয় বিশ্লেষণ। বলা হয়, এখানে তিনি জিতলেই পেয়ে যাবেন এ রাজ্যের মোট ৬টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট। ফলে তিনি পৌঁছে যাবেন ম্যাজিক নাম্বার ২৭০-এ। অন্যদিকে সম্ভাবনা উঁকি দিতে থাকে জর্জিয়া থেকে। সেখানে পিছিয়ে থাকা বাইডেন ক্রমশ লিড নিতে থাকেন। শুক্রবার দুপুর নাগাদ তিনি ট্রাম্পের চেয়ে ৪৫০ ভোটে পিছিয়ে ছিলেন এ রাজ্যে। কিন্তু দুপুর তিনটার দিকে ট্রাম্পকে টপকে যান বাইডেন। তিনি এক হাজারের মতো ভোটে এগিয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ব মিডিয়ার সংবাদ শিরোনাম পাল্টে যেতে থাকে। বাইডেনের গতিতে ‘মোমেন্টাম’ সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করা হয়। কোন কোন মাধ্যম লিখে ফেলে ‘জর্জিয়ায় অল্প ব্যবধানে এগিয়ে বাইডেন, পথ করে নিলেন হোয়াইট হাউসের’। সেই জর্জিয়াতেই তিনি বিজয়ের হাসি হাসবেন এমনটা যেন সময়ের ব্যাপার। এখানে আছে ১৬টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট। ২৬৪ এর সঙ্গে তা যুক্ত হয়ে দাঁড়ায় ২৮০। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে একজন প্রার্থীর প্রয়োজন ২৭০টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট।
ওদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে মাথা ঠাণ্ডা রাখার জন্য বৃহস্পতিবার আহ্বান জানিয়েছে সুইডেনের জলবায়ু বিষয়ক অধিকারকর্মী গ্রেটা থার্নবার্গ। অন্যদিকে নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগে পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে উভয় পক্ষকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস। তিনি উত্তেজনা বৃদ্ধি করাতে দায়িত্বহীনের কাজ বলে মন্তব্য করেন।