ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় গণিত খাতায় নামধাম লিখে কনের স্বাক্ষর নিয়ে বাল্য বিয়ে সম্পন্ন হচ্ছে। ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মুনিম লিংকন। তিনি তাৎক্ষনিক ছুটে যান বিয়ে বাড়িতে।
আটক করা হয় কনের পিতা মিজানুর রহমান, কাজী হাতিভাঙ্গা হাফিজিয়া কওমী মাদ্রাসার সুপার একই গ্রামের বরকত আলীর ছেলে মেহেদি হাসান এবং বর দামুড়হুদা উপজেলার ভগিরথপুর গ্রামের রাশেদুল ইসলামের ছেলে সাইফুলকে। বাল্য বিয়ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক বসানো হয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে কাজীর ৬ মাস এবং বরের ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এ ছাড়া কনের পিতার ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
শনিবার দিনগত রাত ১০টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মুনিম লিংকন কনের পিতার বাড়ি হাতিভাঙ্গা গ্রামে ওই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
রোববার সকালে বর ও কাজীকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ৯টার দিকে ৯৯৯ থেকে দামুড়হুদা মডেল থানায় জানানো হয় দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের হাতিভাঙ্গা গ্রামের মিজানুর রহমানের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে শামিমা খাতুনকে (১৭) গোপনে বাল্য বিয়ে দেয়া হচ্ছে। ২০-২৫ জন বরযাত্রীসহ বর কনের বাড়িতে অবস্থান করছে। এমন সংবাদ পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মুনিম লিংকন ঘটনাটি শুনেই ছুটে যান কনের পিতার বাড়ি হাতিভাঙ্গা গ্রামে। আটক করা হয় কনের পিতা মিজানুর রহমান, সাইফুল ইসলাম এবং বিয়ে পড়ানোর কাজী মেহেদি হাসানকে।
এ সময় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বসানো হয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মুনিম লিংকন দুইজনকে কারাদণ্ড ও কনের পিতাকে জরিমানা করেন।