ব্রিটবাংলা রিপোর্ট : স্বামী, সন্তান এবং নাতি-নাতনির সঙ্গে প্রায় ৩০ বছর কাটানোর পর ‘ওভার স্টে’ এর অভিযোগে ৫৩ বছর বয়সী সিঙ্গাপুরিয়ান এক মহিলাকে স্বদেশে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিল হোম অফিস। অবশ্য গত ফেব্রুয়ারী থেকে দীর্ঘ আইনী লড়াই শেষে হোম অফিস তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে বাধ্য হয়। তাকে নতুন করে ইউকেতে প্রবেশের ভিসা ইস্যু করলেও পুরনো সিদ্ধান্ত বাতিল করেনি হোম অফিস।
মহিলার নাম আরিনা ক্লেনাল। ইউকের ডারহাম কাউন্টিতে স্বামী, দু’ ছেলে এবং তাদের সন্তানদের সঙ্গে বসবাস করতেন তিনি। ব্রিটিশ স্বামীর কেয়ারারের দায়িত্বেও ছিলেন। ১৯৮৮ সালে ইউকেতে আসেন সিঙ্গাপুরি ওই মহিলা। দীর্ঘদিন বসবাসের পর মাঝে একবার দেশেও ফিরে যান। নিজের বাবা-মাকে দেখাশুনা করে তারা মারা যাবার পর আবার বিলেতে ফিরেন। কিন্ত গত ফেব্রুয়ারীতে হঠাৎ তাকে আটক করে ডিটেনশন সেন্টারে পাঠিয়ে দেয় হোম অফিস। এরপর এক কাপড়ে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। তখন তার পকেটে ছিল মাত্র ১২ পাউন্ড। এমন কি ডিটেনশন সেন্টারে কারো সঙ্গে দেখা করতেও দেওয়া হয়নি বলে অভিযো করেন তিনি।
তাকে ফেরত পাঠানোর পেছনে হোম অফিসের দাবী ছিল, ভিজিটর হিসেবে ইউকেতে প্রবেশের পর তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপরেও তিনি ভিসা বিহীন ইউকেতে বসবাস করতে থাকেন। এর ভেতরে বেশ কয়েকবার ভিসা বা লিভ টু রিমেইনের জন্যে আবেদন করলেও তাতে ইমিগ্রেশন আইনের শর্ত পুরনে ব্যর্থ হওয়ায় তার ভিসা আবেদন সফল হয়নি। ফলে তিনি ভিসা বিহীন ওভার স্টেয়িংয়ে ছিলেন। হোম অফিস তাকে নতুন করে ভিসা দিলেও তাদের পুরনো সিদ্ধান্ত বাতিল করেনি।
ডিটেনশন সেন্টারে আটকে রাখার সময় তার সঙ্গে টেরোরিস্টদের মতো আচরন করা হয় বলে অভিযোগ করেছিলেন ওই মহিলা। একজন ব্রিটিশ নাগরিককে বিয়ে করে ইউকেতে থেকে যাওয়ার ফলে সবার সামনে তাকে লজ্জা পেতে হল বলেও গত ফেব্রুয়ারীতে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
তাকে ফিরিয়ে আনার জন্যে তার পরিবারের পক্ষ থেকে ‘গোফান্ডমি’ নামে একটি পেইজ খুলে প্রায় ৫৫ হাজার পাউন্ড রেইজ করা হয়। এই অর্থ দিয়েই হোম অফিসের সঙ্গে আইনি লড়াই করে ইউকেতে আসার নতুন ভিসা অর্জন করেন ৫৩ বছর বয়সী ওই মহিলা।
Singaporean grandmother is granted a last minute reprieve by the Home Office
A mother-of-two who was deported despite living in Britain for 30 years has been granted a reprieve by the Home Office after reversing their decision.
Irene Clennell, 53, who was the main carer for her British husband John, was placed in an immigration detention centre before being deported to Singapore earlier this year.
Mrs Clennell, who lived in County Durham and has two sons and a granddaughter, had just £12 in her pocket and no change of clothes when she was removed from the country.
At the time she accused the Home Office of treating her ‘like a terrorist’ and said despite promising to send someone to meet her in Singapore, they never did.
But in a statement, the Government said she has now been granted a visa.
It said: ‘Mrs Clennell has been granted a visa as a spouse as her latest application meets the immigration rules to enter the UK.
‘This does not negate the previous decision which was the result of Mrs Clennell having entered the UK as a visitor, overstaying her leave to remain and making several applications while in the UK which did not meet the immigration rules.
Speaking to the Press Association in February, she said: ‘It is a bloody disgrace, they treat me like a terrorist and anything else under the sun.
‘They embarrass me in front of everybody, the only thing I did wrong was marry a British man and want to stay in the country with my kids and my husband.’
In response, her family set up a GoFundMe page to help raise legal fees for her case, which has now passed £55,000.
Mrs Clennell arrived in the UK in 1988, but spent periods of time back in Singapore to care for her parents before they died.