৪ মাস পরও আইসল্যান্ডের করোনা রোগীদের দেহে কমেনি এন্টিবডি

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: আইসল্যান্ডে করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা ৯০ শতাংশ রোগীর দেহে চার মাস পরও পর্যাপ্ত এন্টিবডি পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমনটা বলা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, আইসল্যান্ডের সুস্থ হওয়া বেশিরভাগ করোনা রোগীদের দেহে এন্টিবডির পরিমাণ বাড়ার পর তা চার মাস পর্যন্ত স্থির হয়ে ছিল। যদিও এর আগে বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে সুস্থ হয়ে ওঠার পর করোনা রোগীদের দেহে এন্টিবডির পরিমাণ দ্রুত কমে যায়। এর ফলে তাদের দ্বিতীয় বার সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। কিন্তু আইসল্যান্ডের করোনা রোগীদের ওপর চালানো পরীক্ষাটি নতুন করে আশার আলো জোগাচ্ছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

খবরে বলা হয়, আইসল্যান্ডের করোনা রোগীদের ওপর গবেষণাটি চালিয়েছে বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ডিকোড জেনেটিকস। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কারি স্টেফানসন বলেন, তাদের প্রাপ্ত তথ্য করোনার দ্বিতীয়বার সংক্রমণ ও টিকার মেয়াদ নিশ্চিতে ভূমিকা রাখতে পারে।
ডিকোড জেনেটিকসের গবেষকরা, আইসল্যান্ডজুড়ে ৩০ হাজারেরও বেশি করোনা রোগীদের দেহে এন্টিবডির পরিমাণ নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন।

দেশজুড়ে আদতে কতজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ও সুস্থ হওয়ার পর তাদের শারীরিক অবস্থা কেমন তা নির্ধারণ করতেই এই পরীক্ষা চালানো হয়। গবেষণা শেষে দেখা যায়, দেশের মাত্র ১ শতাংশ জনগণ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৫৬ শতাংশ পরীক্ষাগার থেকে তাদের সংক্রমণের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন। ১৪ শতাংশ আক্রান্ত পরীক্ষা করাননি তবে আক্রান্তদের সংস্পর্শে যাওয়ার পর কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। বাকি ৩০ শতাংশের মধ্যে করোনা আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে এন্টিবডি পরীক্ষার মাধ্যমে।

পিসিআর দিয়ে করোনা পরীক্ষা করান ১ হাজার ২১৫ জন ব্যক্তি। তাদের মধ্যে ৯১ শতাংশের দেহে আগ থেকে থাকা এন্টিবডি, সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ার দুই মাসের মধ্যেই বৃদ্ধি পেয়ে স্থির হয়ে যায়। দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশ পেয়েছে গবেষণাটির ফলাফল। তবে এ গবেষণা করা হয়েছে একটি একক দেশের জনগণের ওপর। যার ফলে, অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে একই চিত্র নাও দেখা যেতে পারে।

Advertisement