২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আল-কায়েদা সদস্যরা তিনটি প্লেন ছিনতাই করে নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে (টুইন টাওয়ার) হামলা চালায়। এতে পুরোপুরি ধুলিস্যাৎ হয়ে যায় সুউচ্চ ভবন দুটি। প্রাণ হারান প্রায় আড়াই হাজার মানুষ, ক্ষতিগ্রস্ত হন ২০ হাজারেরও বেশি। পরে জানা যায়, হামলাকারী ১৯ জনের মধ্যে ১৫ জনই ছিলেন সৌদি নাগরিক। এ ঘটনায় সৌদি সরকার বা সরকারের কর্মকর্তারা অর্থায়ন করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। দুই দশক আগে ১১ সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ সেই টুইন টাওয়ার হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের তদন্ত সংশ্লিষ্ট নথিপত্র ‘গোপনীয়তামুক্ত’ করার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হামলায় ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) এ ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ অবস্থায় হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের সদস্য, বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি, উদ্ধারকাজে অংশগ্রহণকারী মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার মানুষ গত আগস্টে জো বাইডেনের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
এতে তারা অভিযোগ করেছেন, মার্কিন প্রশাসন ইচ্ছা করেই তদন্ত প্রতিবেদনটি গোপন রেখেছে। তারা এ প্রতিবেদন প্রকাশের আগে বাইডেনকে ৯/১১ হামলার ২০ বছরপূর্তি স্মরণে আগামী সপ্তাহের অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকতে বলেন। তারা জানান, ২০০৪ সালে ৯/১১ কমিশনের তদন্তে দেখা যায়, ওই হামলায় সৌদি সরকারি কর্মকর্তাদের সমর্থন ছিল।চিঠিতে ভুক্তভোগীরা আরও বলেন, একাধিক সরকারের মাধ্যমে বিচার বিভাগ এবং এফবিআই সক্রিয়ভাবে এই তথ্য গোপন রাখতে এবং ৯/১১ হামলার ব্যাপারে পুরো সত্য জানতে মার্কিন জনগণকে বিরত রেখেছে। যদিও রিয়াদ বিমান ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে এবং নিউইয়র্কের ফেডারেল আদালতে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে আনা একটি মামলার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। শুক্রবার এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমি যখন প্রেসিডেন্ট হতে লড়ছিলাম, তখন ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার নথি প্রকাশের বিষয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। এখন সেই মর্মান্তিক দিনের ২০তম বার্ষিকীর দিকে এগিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে আমি সেই অঙ্গীকারকে সম্মান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, আজ আমি এফবিআইয়ের ৯/১১ তদন্ত সংক্রান্ত নথি গোপনীয়তামুক্ত করার বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য মার্কিন বিচার বিভাগ ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নির্দেশনা দিয়ে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছি। আদেশ অনুসারে, অ্যাটর্নি জেনারেলকে আগামী ছয় মাসের মধ্যে নথিগুলো প্রকাশ করতে হবে। সেই আদেশ অনুসারে, অ্যাটর্নি জেনারেলকে আগামী ছয় মাসের মধ্যে নথিগুলো প্রকাশ করতে হবে।সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান