প্রথম ম্যাচে বোলারদের কল্যাণে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪৫ রান আটকে দিলেও শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৮ রানে হারতে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। ব্যাটিং ব্যর্থতা বজায় রেখেছেন সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও। ১৯৭ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করার দিনে সফরকারীরা থেমেছে মাত্র ১৪০ রানে। তাতে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৫৬ রানে হেরে সিরিজে ২-০তে পিছিয়ে গেলো অ্যারন ফিঞ্চের দল। জয়ের জন্য ১৯৭ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হতাশার শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। দলীয় মাত্র ১৯ রানের দলের দুই ওপেনারকে হারায় সফরকারীরা। ম্যাথু ওয়েড শূন্য রানে ফেরার পর অধিনায়ক ফিঞ্চ সাজঘরের পথে হাঁটেন ৮ বলে ৬ রান করে। এরপর খানিকটা প্রতিরোধ গড়ে তুলেন মিচেল মার্শ ও জস ফিলিপ। তাঁদের দুজনের ৩৯ রানের জুটি ভাঙে ফিলিপের বিদায়ে। হেইডেন ওয়ালশের বলে উইকেট থেকে একটু পিছিয়ে গিয়ে খেলতে গেলে বলের লাইন মিস করে বোল্ড আউট হয়েছেন ১২ বলে ১৩ রান ফিলিপ। এরপর খানিকটা আশা সঞ্চার হয় মার্শ ও ময়সেস হেনরিকসের জুটিতে। অন্য ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলেও সিরিজের দ্বিতীয়বারের মতো হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান মার্শ। ৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়া মার্শ শেষ পর্যন্ত ফিরেন ৪২ বলে ৫৪ রান করে। এদিকে ব্যক্তিগত ১০ রানের সময় ফ্যাবিয়েন অ্যালেনের বলে জীবন পেলেও সেটির ফায়দা লুটতে পারেননি হেনরিকস।২১ বলে ১৯ রান করে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ফিরলে ভাঙে তাঁদের দুজনের জুটি। মার্শ ও হেনরিকসের বিদায়ের পর ধস নামে অস্ট্রেলিয়া শিবিরে। সর্বশেষ ২৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে হার দেখতে হয় সফরকারীদের। এই সময়ে সাজঘরে ফিরেছেন অ্যাস্টন অ্যাগার, ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ান, অ্যাডাম জাম্পরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ওয়ালশ তিনটি আর দুটি উইকেট নিয়েছেন শেলডন কটরেল।এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ সংগ্রহ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্বাগতিকদের হয়ে শিমরন হেটমায়ার ৬১, ডোয়াইনে ব্রাভো অপরাজিত ৪৭ ও লেন্ডল সিমন্স ৩০ রান করেছেন। এ ছাড়া শেষ দিকে ৮ বলে অপরাজিত ২৪ রান করেছেন আন্দ্রে রাসেল।
অজিদের হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল উইন্ডিজ
Advertisement