ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: অভিবাসী আটক করে লিবিয়া সরকার ইউরোপের কাছ থেকে বহু অর্থ নিচ্ছে। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া একটি নথিতে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
১৩ পৃষ্ঠার এ নথিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) স্বীকার করেছে, তারা লিবিয়ার কোস্টগার্ডের ওপর নজরদারি করতে পারেনি।
ফলে অভিবাসীদের আটকে রাখা লিবিয়ার সরকারের জন্য ‘লাভজনক ব্যবসার মডেল’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরেও ইইউ সম্প্রতি ইউরোপে অভিবাসীদের প্রবেশ ঠেকাতে লিবিয়া সরকারের সঙ্গে বিতর্কিত চুক্তির নবায়ন করেছে। বুধবার দ্য গার্ডিয়ান এ খবর দিয়েছে।
ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনে ইউরোপগামী অভিবাসীদের দুর্ভাগ্যের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ব্রাসেলসভিত্তিক কোস্টগার্ড সাগর থেকে অভিবাসীদের উদ্ধার করে লিবিয়ার আটক কেন্দ্রগুলোতে পাঠিয়ে দেয়। এসব আটক কেন্দ্রে ভয়াবহ ও বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পড়তে হয় অভিবাসীদের।
আটক কেন্দ্রগুলোতে মানবাধিকার লঙ্ঘন, মৃত্যু, কোনো ধরনের ব্যাখ্যা ছাড়াই গুম, ঘুষ, দুর্নীতির ঘটনা ঘটছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে এরপরও প্রতিবেদনে লিবীয় উপকূলে ইউরোপমুখী শরণার্থী হ্রাসে ‘লক্ষ্য অর্জনে’ আটক কেন্দ্রগুলোর প্রশংসা করা হয়েছে।
সম্প্রতি কয়েক কোটি ইউরোর নবায়ন করা চুক্তি অনুযায়ী, ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীদের ঠেকাতে লিবিয়ার কোস্টগার্ডকে নগদ অর্থ, প্রশিক্ষণ ও নৌকা দিয়ে সহায়তার কথা বলেছে ইইউ ও ইতালি।
গত মাসে হওয়া এ চুক্তির ভিত্তিতে লিবিয়ার কোস্টগার্ডকে আগের চুক্তির চেয়ে অতিরিক্ত ৫০ লাখ পাউন্ড দেয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। তবে আগের চুক্তিতে কত অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা উল্লেখ করেনি দ্য গার্ডিয়ান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে লিবিয়া থেকে ইতালিতে এসেছিল এক লাখ সাত হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী। পরের বছর সেই সংখ্যা কমে ১৩ হাজারে দাঁড়ায়। আর চলতি বছর আগস্ট পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল মাত্র এক হাজার ১০০।
লিবিয়ার কোস্টগার্ডের দাবি, তারা আগস্ট পর্যন্ত পাঁচ হাজার ২৮০ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে ভূমধ্যসাগরে ঠেকিয়েছে। সংখ্যাগত বিষয়টি বিচার করে একে সফলতা বলে দাবি করছে ব্রাসেলস।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ডাচ সদস্য সোফি বলেন, ‘হয়তো কিছু লোক ডুবে গেছে, কিছু ইউরোপ উপকূলে পৌঁছেছে। তবে এরপরও অসংখ্য মানুষ মরুভূমিতে মারা গেছে। দাস বাজারে বিক্রি করা হয়েছে এবং নির্যাতিত হয়েছে।