ব্রিটবাংলা ডেস্ক : দ্বিতীয় দফায় জাতীয় লকডাউনে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সমবেত প্রাথনা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে আইনী লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন ইংল্যান্ডের শীর্ষ ধর্মীয় নেতারা।
দ্বিতীয় দফায় করোনার বিস্তার ঠেকাতে বৃহস্পতিবার থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইংল্যান্ডে লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। প্রথম দফা লকডাউনের মতো দ্বিতীয় দফা লকডাউনেও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সমবেত প্রার্থনা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
চার্চ অব ইংল্যান্ড, ক্যাথলিক চার্চ, জুইশ, মুসলিম, হিন্দু, শিখসহ অন্যান্য ধর্মের শীর্ষ নেতাদের স্বাক্ষরিত এক যৌথ চিঠিতে দ্বিতীয় দফায় লকডাউনে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সমবেত প্রার্থনা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার জন্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনা বিস্তার ঠেকাতে দ্বিতীয় দফা লকডাউনে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার বা সমবেত প্রার্থনা বন্ধ রাখার পক্ষে বিজ্ঞানসম্মত কোনো যুক্তি নেই। প্রথম দফায় লকডাউনের পর করোনা ঝুঁকিমুক্ত এবং নিরাপদ পরিবেশ তৈরী করা হয়েছে প্রতিটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে। এছাড়া চার্চ, সিনেগগ, মসজিদ এবং মন্দিরে সমবেত প্রার্থনা সবার অন্তরে সাহসের সঞ্চার করে এবং করোনা মহামারীতে একের অন্যের পাশে দাঁড়াতেও সহযোগিতা করে আসছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। এসব নানান যুক্তি দেখিয়ে দ্বিতীয় দফা লকডাউনে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সমবেত প্রার্থনা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে আইনী লড়াইয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে সমবেতনা প্রার্থনার উপর দ্বিতীয় দফা লকডাউনে নিষেধজ্ঞা প্রত্যাহার না করলে কনজারভেটিভ পার্টি সমর্থিত ফেইথ গ্রুপ ক্রিশ্চিয়ান কর্নার আইনী লড়াইয়ে যাবার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। অন্যদিকে মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেন জরুরী ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্তটি পর্যালোচনার জন্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেবার আগে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পরামর্শ গ্রহণ না করার সমালোচনাও করেছে এমসিবি।
আইনী চ্যালেঞ্জের মুখে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন : ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান লকডাউনের বাইরে রাখার আহ্বান
Advertisement