সেকুলার বাংলাদেশ মুভমেন্ট ইউকের নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের লেবাসে এখনো সক্রিয় রয়েছে মৌলবাদী গোষ্ঠী। তারা দাবী করেন, ধর্মীয় মিথ্যা উসকানি দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলাসহ জায়গা জমি দখল করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন সরকারী দলের লেবাসে মৌলবাদী জামাত-শিবিরের পুনবার্সন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে সমানাধিকারের পরিপন্থী।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের সভাপতি পুষ্পিতা গুপ্তার উপস্থিতিতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক কাজল সরকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ সাধারণ সম্পাদক অতীশ সাহা, উপদেস্টা সাবেক কাউন্সিলার নূর উদ্দিন, সাংবাদিক আনসার আহমদ উল্লাহ।
লিখিত বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা একটি শোষণহীন মানবিক রাস্ট্র, সেখানে প্রতিটি মানুষ স্বাধীনতভাবে তাদের ধর্ম ও উৎসব পালন করবে। স্বপ্নের সেই সোনার বাংলা গড়ার দায়িত্ব এখন অসম্প্রদায়িক চেতনার মূর্ত প্রতিক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে। কিন্তু অত্যন্ত দু:খের বিষয় এমন সময়েও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে আঘাতের অপকৌশলে মত্ত প্রশাসনে ঘাপটি মেরে বসে আছে কিছু ব্যক্তি।
লিখিত বক্তব্যে তারা অভিযোগ করেন, আসন্ন দূর্গোৎসবের সময় সংসদের উপনির্বাচন ও পরিক্ষার সময় সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এটি কোনভাবে গ্রহনযোগ্য নয়। শারদীয় দূর্গাপূজা এলেই দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় প্রতিদিন প্রতিমা ভাংচুরের ধারাবাহিক ঘটনা লক্ষনীয়ভাবে বেড়ে যায় এবং কোনো অপরাধী গ্রেফতার হলে তাকে মানসিক রোগী হিসেবে সাব্যস্ত করার একধরনের প্রবণতা লক্ষনীয়।
দেশের বিভিন্ন স্থানে শীতকালে অনুষ্ঠিত ওয়াজ মাহফিলে বা ইউটিউবে অনলাইন চ্যানেলে ওয়াজকারী বক্তা কর্তৃক অন্য ধর্মকে হেয় করে বক্তব্য দিয়ে থাকেন। যা অন্ধবিশ্বাসী সরলমনা মানুষ বিশ্বাস করে ভুল পথে পা বাড়ায়। এসব উসকানিমূলক ওয়াজ নিয়ন্ত্রনে সরকারের কিছু পদক্ষেপ চোখে পড়লেও এসব মৌলবাদী অপশক্তির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান আজ পর্যন্ত দেখা যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করেন ক্ষমতাসীন সরকারী দলের লেবাসে মৌলবাদী জামাত শিবিরের পুনবার্সন অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশে অপ্রত্যাশিত। তারা শারদীয় দূর্গোৎসবে সরকারি ছুটি বৃদ্ধির আহবান জানান।