আওয়ামী লীগে দূষিত রক্তের দরকার নেই : সেতুমন্ত্রী

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গুটি কয়েক খারাপ লোকের জন্য গোটা আওয়ামী লীগ বদনামের ভাগিদার হবে না। গোটা আওয়ামী লীগের ভালো লোকদের ত্যাগ বৃথা যেতে পারে না। যারা অপকর্ম করবে, দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা করবে সেসব অপকর্মদারীদের স্থান আওয়ামী লীগে নেই। আমাদের দূষিত রক্তের দরকার নেই। দূষিত রক্ত বের করে দিতে হবে। বিশুদ্ধ রক্ত সঞ্চালন করতে হবে।

আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরের একটি কনভেনশন হলে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই সভার আয়োজন করা হয়।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, খারাপ আচরণ উন্নয়নকে ম্লান করে দিতে পারে। আমরা পরিবর্তন চাই শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত যে পরিবর্তন। সে পরিবর্তন চাই না যেটা আওয়ামী লীগের আদর্শের শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন।

প্রয়াত নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর স্মৃতিচারণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শুধু ব্যবসা করলে তিনি দেশের এক নম্বর ধনী হতেন। কিন্তু রাজনীতিকে তিনি মানি মেকিং মেশিন করেননি। আজ অনেকে রাজনীতিকে কেনাবেচার পণ্য মনে করে। জনগণকে তিনি ভালোবাসতেন বলেই তাঁর প্রতি জনগণের ভালোবাসা আজও দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। চট্টগ্রামের সমার্থক হয়ে গিয়েছিল দুই নাম-বাবু ভাই ও মহিউদ্দিন চৌধুরী।

সভায় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর দল যখন মহাবিপর্যয়ে তখন সব চক্রান্ত উপেক্ষা করে যারা চট্টগ্রামের মাটিতে দলের রাজনীতি করেছেন, স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের একজন আখতারুজ্জামান বাবু। ৭৫’র পর দল চালানোর ক্ষেত্রে বাবু ভাইয়ের হাত সবসময় প্রসারিত ছিল। সমস্ত রক্তচক্ষু, প্রতিবন্ধকতার মধ্যে আওয়ামী লীগ আজ টিকে আছে বাবু ভাইদের মতো নেতাদের জন্য।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, দলীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ূয়া, চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম প্রমুখ।

Advertisement