শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই লটারির মাধ্যমে আগামীতেও সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। আজ বুধবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে শিক্ষার্থী ভর্তির ডিজিটাল লটারির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মন্ত্রী।আজ বিকাল ৫.০০ ঘটিকা থেকে http://gsa.teletalk.com.bd এই ওয়েবসাইট থেকে রেজাল্ট পাওয়া যাবে। এছাড়াও মোবাইলের মাধ্যমে রেজাল্ট পেতে টেলিটক মোবাইল নাম্বার থেকে GSARESULTUSER ID লিখে 16222 নাম্বারে সেন্ড করতে হবে। উদাহরণঃ GSA RESULT DFSRESGSID Send 16222.শিক্ষামন্ত্রী ল্যাপটপে ভর্তির নির্ধারিত সফটওয়ারে প্রবেশ করে বাটনে চাপ দিয়ে ডিজিটাল লটারির উদ্বোধন করেন। ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচলক অধ্যাপক ড. মো গোলাম ফারুক উপস্থিত ছিলেন।শিক্ষামন্ত্রী জানান, নামি দামি প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য অভিভাবকদের যুদ্ধ থামাতে এবং শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ কমিয়ে প্রতিষ্ঠানে মেধার সমন্বয় ঘটাতে আগামীতেও ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। তিনি বলেন, বাবা-মা’দের ফোকাস শিক্ষার্থী কত নম্বর পেলো, কী ফলাফল হলো তার ওপর। কিন্তু কী শিখলো, কী শিখলো না, সে দিকে নজর কম। নামি দামি স্কুলে ভর্তি করাবার অসুস্থ প্রতিযোগিতা বিভিন্ন সময় আমরা দেখেছি।
আবার সেই ভর্তি করাতে গিয়ে অনেকে অনৈতিক পথ বেছে নিতে পিছ পা হন না। এসব কিছু মাথায় রেখে আমরা লটারির কথা চিন্তা করেছিলাম। সারা দুনিয়ার আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় মনে করা হয়, বিভিন্ন ধরনের মেধার শিক্ষার্থীরা যখন একটি জায়গায় থাকে তখন সেটা শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো, প্রতিষ্ঠানের জন্যও ভালো।
মন্ত্রী বলেন, ‘কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে যখন স্বাস্থ্যের বিষয়টি বড় করে সামনে চলে এলো, পরীক্ষা নিলে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারতো তখন আমরা লটারির কথা চিন্তা করেছিলাম। তখন হয়তো কোনো কোনো অভিভাবকের সন্তান নামি দামি স্কুলে ভর্তি হতে পারেনি। তাদের কেউ কেউ মনোক্ষুণ্ণ হয়েছেন। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে জনগণ এটিকে ভালো বলেছেন। কারণ এর মধ্যে মেধার সমতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে যে অনভিপ্রেত ও অসুস্থ প্রতিযোগিতা, সেটিও বন্ধ হয়েছে।দীপু মনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপরও ভীষণ মানসিক চাপ থাকতো। বাবা-মায়ের পছন্দের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে না পারলে, প্রচণ্ড রকম মানসিক চাপের মধ্যে পরত। এটি শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক স্বাস্থের জন্য কাম্য নয়, তার সঙ্গে কোচিং বাণিজ্যের একটি বড় ব্যাপর ছিলো। লটারিতে ভর্তির কারণে কোচিং অনেকাংশে বন্ধ হয়েছে। তাই গত বছরের ধারাবাহিকতায় এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় আমরা ২০২২ সালেও সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করে ভর্তির উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।এবারই প্রথম জেলা সদর ও মহানগর পর্যায়ের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুওলোকে কেন্দ্রীয় লটারির আওতায় আনা হয়েছে। এর বাইরে যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদেরও লটারির মাধ্যমে ভর্তি করতে হবে। তারা নিজেরা লটারি করবেন, তবে শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।