আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনগণ যত দিন চাইবে তত দিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে বলেও জানান সরকারপ্রধান।কাতার ইকনোমিক ফোরামে বুধবার এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন দেশটিতে সফররত প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন হলো জনগণের অধিকার। আমরা কী (উন্নয়ন) করেছি, তারা তা দেখেছে। তারা যদি আমাকে ভোট দেয়, তাহলে আমি আছি; আর যদি না দেয়, তবে ঠিক আছে, আমি থাকব না। আমাদের সময় অনেক উপ-নির্বাচন, স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কে সেখানে সমস্যা তৈরি করেছে? আমরা তো করিনি। কিন্তু সব নির্বাচনেই তো কিছু ঘটনা ঘটে।’তিনি আরও বলেন, ভোট দেওয়া জনগণের অধিকার। জনগণ ভোট দিলে ক্ষমতায় থাকব, না হলে থাকব না। তিনি জানান, সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে সরকারে কে থাকবে।ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকারের নিশ্চয়তা দিয়ে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে অবশ্যই নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।যেসব দেশ আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে তাদের পর্যবেক্ষক পাঠানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।দেশে কে ক্ষমতায় আসবে, সে বিষয়ে জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে আসেননি।
নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নোত্তরে সরকারপ্রধান বলেন, ‘..কে দেশ চালাবে, সে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত জনগণের। এটা জনগণের ক্ষমতা (এখতিয়ার)। এ কারণে আমি জনগণের ক্ষমতাকে নিশ্চিত করতে চাই। আমি ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে আসিনি। এর পরিবর্তে আমি চাই জনগণের ক্ষমতায়ন…।শেখ হাসিনা বলেন, এ কারণে আমাদের সরকারের অধীনে নিশ্চিতভাবে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। কেন নয়? এখন কেউ কেউ বলতে পারে যে, তারা (নির্বাচনে) অংশ নেবে না। কীভাবে তারা অংশ নেবে? কারণ তাদের সময় দেশ অনেক ভুগেছে; আমাদের জনগণ ভুক্তভোগী হয়েছে। ওই সময়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়েছিল। সর্বত্র দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ছিল। একইভাবে ছিল শোষণ। তারা জনগণের তোয়াক্কা করত না।বিগত সরকারের সময়কার পরিস্থিতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের জনগণের জন্য দিনে এক বেলা খাবার খাওয়াও বেশ কঠিন ছিল। এটা ছিল তাদের আমলের পরিস্থিতি। আমার দল ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমাদের জনগণের জন্য সবকিছু নিশ্চিত করেছি।তিনি বলেন, এ কারণে এখন নির্বাচনের বিষয়টা জনগণের অধিকার। আমরা কী করেছি, তা জনগণ বোঝে। তারা ভোট দিলে আছি, না দিলে ঠিক আছে।শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘২০০৬ সালে আমাদের দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪১.৬ শতাংশ, ২০২২ সালে সেটিকে আমরা ১৮.৭ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। আশা করি, আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে কোনো চরম দারিদ্র্য থাকবে না।সকলের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ, কারও সাথে বৈরিতা নয়- এটা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, রাশিয়া থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি পাওয়া গেলে সেটা বাংলাদেশের কিনতে কোনো আপত্তি নেই।সম্প্রতি আইএমএফের কাছ থেকে মোটা অংকের ঋণ নেওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা আছে বলেই তারা আমাদেরকে ঋণ দিয়েছে।