নিজস্ব প্রতিবেদক : আফ্রিকার ছোট দারিদ্র পীড়িত দেশ জিবুতিতে মানবিক সেবা নিয়ে হাজির হয়েছে আল-খায়ের ফাউন্ডেশন। গত ১২ এপ্রিল, আফ্রিকার অন্যতম দরিদ্র্য দেশ জিবুতিতে দুই ট্রাক-ভর্তি পন্য নিয়ে হাজির হয় আল খায়ের ফাউন্ডেশনের বল্টন ব্রাঞ্চের সেবাকর্মীরা। ট্রাক ভর্তি খাদ্য ও পোশাক নিয়ে হাজির হওয়া আল খায়ের ফাউন্ডেশনকে সেবা দান করতে সহয়তা করেছেন লন্ডনের বিভিন্ন শহরের মানুষরা। যারা জিবুতির গরীব লোকদের পাশে এসে দাড়িয়েছেন। আর এ কারনে আলখায়ের ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সহায়তাদানকারী সবাইকে ধন্যবাদ প্রদান করা হয়।
গত পাঁচ সপ্তাহ ধরে প্রচারাভিযানে নতুন কাপড়ের পাশাপাশি আটা, চাল, পাস্তা, রান্নার তেল, শিশুর দুধের গুড়া এবং চা ব্যাগ সংগ্রহ করার পাশাপাশি ১০০,০০০ পাউন্ডের বেশি মূল্যবান সরবরাহ সংগ্রহ করেছে আল খায়ের ফাউন্ডেশন।
ফাউন্ডেশনটির কাছে ব্যান্ডাফোর্ড, ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারে স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে সহায়তা আসেছে। যা আল-খায়ের ফাউন্ডেশনের কর্মীরা একত্রিত করে সেবা দানের উপযোগী করে প্রস্তুত করেন। যা হাজার হাজার মাইল দূরে জিবুতি নামের পূর্ব আফ্রিকার একটি দেশে প্রদান করা হয়েছে। আল খায়ের মনে করে, চরম দারিদ্র্র্য ও মানবিক সংকটের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশটি ফাউন্ডেশনের করা এই সহায়তায় একটু হলেও উপকৃত হবে ।
আল-খায়ের ফাউন্ডেশনের বল্টন ব্রাঞ্জের আসলাম আচা বলেছেন, জিবুতির জন্য যখন আমরা ফান্ড সংগ্রহ করছিলাম তখন আমরা চারপাশের মানুষের কাছ থেকে অনেক সাড়া পেয়েছি।
তিনি বলেন, বোল্টনের মানুষ অনেক উদার। যখন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেক সহায়তা চেয়ে আপিল করা হয়। তখন তারা ব্যাপক ভাবে আল-খায়ের ফাউন্ডেশনের পাশে এসে দাড়ায়। বাড়িয়ে দেয় সহায়তার হাত। রমজানকে ঘিরে দান আবেদনটি তিন বছর ধরে চলছে। আর জিবুতিতে দ্বিতীয়বারের মতো সেবা নিয়ে যাচ্ছে ফাউন্ডেশনটি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ফাউন্ডেশনটি লন্ডনের অন্যতম বড় মুসলিম চ্যারিটি হিসেবে কাজ করছে। তারা সব সময় বিভিন্ন প্রতিকূল সময়ে মানবিক সাহায্য নিয়ে বিভিন্ন দেশে পৌঁছে যায়। একই সাথে ফাউন্ডেশনটি যুক্তরাজ্যের বেকারত্ব, দারিদ্র- বৈষম্য মোকাবেলায় কাজ করছে।
এএফএফের কাজ প্রসঙ্গে জাতীয় মসজিদ লিয়াজেন অফিসার জুবায়ের ওয়ালী বলেন, বোল্টনের মতো একটি শহরে স্থানীয় অনেক মানুষ নিজ উদ্যোগে আশ্চর্যজনক ভাবে সহায়তা করেছে। যা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। ”
তিনি আরও বলেন, আল খায়ের ফাউন্ডেশন চ্যারিটি হিসেবে সবার কাছে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তারা মানুষের কাছ থেকে পাওয়া সহায়তা নিয়ে জিবুতির মতো গরীব দেশের মানুষদের পাশে দাড়ানোর সুযোগ পেয়েছে। আর যেসব মানুষ ফাউন্ডেশনের ডাকে সাড়া দিয়ে পাশে এসে দাড়িয়েছেন তাদের অনেক ধন্যবাদ।