ব্রিটবাংলা রিপোর্ট : শিশু সার্ভিস নিয়ে সমালোচনা এবং বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের। এবার ৫ বছর বয়সী এক ক্রিশ্চিয়ান মেয়েকে তার পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মুসলিম পরিবারের কাছে দত্তক দেওয়ার কারনে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পরেছে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল। এর আগে গত এপ্রিলে চাইল্ড কেয়ার সার্ভিসের দুর্দশার অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পরেছিল লেবারের নির্বাহী মেয়র জন বিগসের কেবিনেট। তখন লিড মেম্বার ছিলেন সাবেক ডেপুটি মেয়র রেচাল স্যান্ডার্স।
পরিবারের অমতে বা অনিচ্ছা থাকার পরেও ৫ মাস বয়সী ক্রিশ্চিয়ান মেয়ে শিশুকে দুটি মুসলিম পরিবারের কাছে প্রায় ৬ মাস দত্তক থাকতে হয়েছে। নিকাব ব্যবহারকারী এক ফস্টার কেয়ারার ছিলেন ওই ক্রিশ্চিয়ান শিশুর। এ নিয়ে ব্যাঙ্ক হলিডের উইকেন্ডে মুলধারার মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি উঠে আসার পর কাউন্সিলের বিরোধীগ্রুপও এর ব্যাপক সমালোচনা করেছে। তবে তারা মুসলিম কেয়ারার কাছে ভিন্নধর্মী শিশু ফস্টারীং বা দত্তক দেওয়ার বিরুদ্ধে সমালোচনা করেননি। তাদের মতে চাইল্ড কেয়ারিংয়ের সঙ্গে ধর্মীয় কোন বাঁধা নিষেধ নেই। কিন্তু ফস্টার কেয়ারে কোন দত্তক শিশুর ধর্মীয় সংস্কৃতি বা বিশ্বাসের উপর জোর খাটাতে পারে না বলে সমালোচনা করেছেন টোরি কাউন্সিলর এন্ড্রো উড। এই টোরি কাউন্সিলর দাবী করেন, ৫ বছরের ক্রিশ্চিয়ান শিশুকে তার মুসলিম ফস্টার কেয়ারার আরবি শেখানোর চেস্টা করেছে। শিশুটির গলা থেকে ক্রস চিহ্নিত নেকলেসটি সরিয়ে নিয়ে তাকে বেহেস্তে যাবার তালিম দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন কাউন্সিলর এন্ড্রো।
এদিকে অপর বিরোধী গ্রুপ পিপলস এলায়েন্স গ্রুপের লিডার কাউন্সিলর রাবিনা খান বলেছেন, গত এপ্রিলে অফস্টেড রিপোর্টে ফস্টারিং সার্ভিসের অত্যন্ত দুর্বল নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে এসেছে। এর মধ্যে নতুন বিতর্কিত বিষয়টি নিয়ে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কাউন্সিলের ভেতর থেকে কেন এবং কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটে সেটাও তদন্তের আওতায় আনার দাবী জানান কাউন্সিলর রাবিনা খান।
উল্লেখ্য এই শিশুটি চলিত বছেরের প্রথম দিকে ফস্টার কেয়ারের কাছে দত্তক দিয়েছিল কাউন্সিল। কিন্তু শিশুটির মা দাবী করেছেন, তার ৫ বছরের মেয়েটি ফস্টার কেয়ারে থাকা অবস্থায় অপরিচিত কালচার, ধর্ম এবং ভাষাগত পরিবেশে ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় ৬টি মাস কাটিয়েছে। অবশ্য কাউন্সিলের একজন মুখপাত্র বলেছেন, শিশুদের দত্তক দেবার আগে কাউন্সিলের পক্ষ থেকে শিশুদের ব্যাকগ্রাউন্ড এবং তাদের কালচার বা সংস্কৃতির বিষয়টি গভীরভাবে বিবেচনা করা হয়। এটা নিশ্চিত করার জন্যে ২০০৭ সালে এথনিসিটি, ভাষা, কালচার ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশী, শ্বেতাঙ্গ, ক্যারাবিয়ান এবং আফ্রিকান কমিউনিটির মানুষকে লক্ষ্য করে ফস্টার কেয়ারার নিয়োগ করে কাউন্সিল। এদিকে গত এপ্রিলে অফস্টেড রিপোর্ট প্রকাশের পর চীল্ড্রেন সার্ভিসের উন্নতির জন্যে ৪ দশমিক ৮ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগের ঘোষণা করে কাউন্সিল।
Fostering Christian child with Muslim family in Tower Hamlets
Politicians in London’s East End are accusing “bigots” of whipping up hysteria over a white Christian child being placed by Tower Hamlets Council into care with a “niqab-wearing foster carer” in a Muslim household.
The five-year-old girl had spent six months in two Muslim households “against the wishes of the girl’s family”, the national media reported at the weekend.
The row follows criticism of the children’s services by the government’s Ofsted watchdog in April over its lack of knowledge about childcare cases.
The Opposition Tory group was shocked at reports of the child being taught Arabic words to be said aloud to ensure “when you die you go to heaven” and that her necklace containing a cross was removed, which they feared suggested proselytising.
“This raises troubling questions about the suitability of some foster parents,” Said Cllr Andrew Wood.
“Foster families have a duty not to impose their own beliefs on a child unless they are the universal principles of good parenting.”
The opposition group was not opposed to Muslim parents fostering children of other faiths, nor vice versa, as child care was “not faith dependent”.
People’s Alliance opposition group leader and former Lead Member Rabina Khan said: “Ofsted has raised serious safeguarding concerns about the fostering service.
“But it’s disturbing to see bigots using this story about the child to whip up hatred against immigrants.”
Both opposition groups are calling for an investigation, claiming a confidential report was leaked from inside the Labour administration in “a clear breach of data protection”.
The child was taken into care earlier this year. Her mother was said to have been “horrified” by the cultural, religious and linguistic environment in which her daughter had spent the past six months.
But a town hall spokesman told the local News pepper : “We give absolute consideration to our children’s background and their cultural identity in every case.”
Tower Hamlets 10 years ago needed to recruit foster carers “taking ethnicity, religion, language and culture into account”. Communities targeted in 2007 included Caribbean, African, Bangladeshi and white.
Failures in children services were found by Ofsted inspectors in April. Too many children remained in “actual or potential harm” because of lack of scrutiny and understanding in private fostering arrangements which failed to consider whether children had been trafficked or abandoned by their parents.
The council is investing an extra £4.8m in children’s services for improvements required by Ofsted.