আব্দুল আজিজ সরদার সংবর্ধিত

ব্রিটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটি আগের চেয়ে আরো বেশী সুসংগঠিত।পূর্বে প্রবীনদের ঘাম জড়ানো খাটুনির কারণে মূলধারায় বাংলাদেশীদের আধিপত্য বিস্তার লাভ করছে। আগের চেয়ে আরো বেশী সুসংগঠিত। পূর্বে প্রবীনদের ঘাম জড়ানো খাটুনির কারণে মূলধারায় বাংলাদেশীদের আধিপত্য বিস্তার লাভ করছে।

রবিবার পূর্ব লন্ডনের স্থানীয় একটি হলে দিরাই থানা ডেভেলাপমেন্ট অর্গানাইজেশন ইউকে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন অতিথিরা।

টাওয়ার হ্যামলেটসের সাবেক মেয়র আব্দুল আজিজ সরদারের বিইএম খেতাবে ভূষিত হওয়ার তার সম্মানে এবং যুক্তরাজ্যের দিরাই থানাধীন জিসিএসসি ও এ লেভেলে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের স্বিকৃতি প্রদানের জন্য এ আয়োজন করে সংগঠনটি।

প্রবীণরা আমাদের হিরো। অতীতের কঠোর কষ্টের দিনগুলো যারা হাসিমুখে সংগ্রাম করেছেন তাদের জন্যই আমরা ব্রিটিশ বাংলাদেশীরা নানা ক্ষেত্রেই সফলতার সাক্ষর রাখতে পারছি। আর তাই প্রবীণদের সম্মান জানানো আমাদের দায়িত্বের একটি বড় অংশ বলা যেতে পারে।

দিরাই থানা ডেভেলাপমন্টে কর্তৃক আয়োজিত  এভাবেই বক্তব্য রাখছিলেন বেথনাল বো আসনের এমপি রোশনারা।

টাওয়ার হ্যামলেটসের সাবেক মেয়র আব্দুল আজিজ সরদারের ব্রিটিশ এম্পায়ার মেডেলে ভূষিত হওয়ায় তার সম্মানে এর আয়োজন করে দুই যুুগ পূর্ণ হতে যাওয়া প্রাচীন সংগঠন দিরাই থানা ডেভেলাপমেন্ট অর্গানাইজেশন।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মি. জিম ফিটজ পেট্রিক এমপি, টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র জনবিগস। তারা বাংলাদেশী কমিউনিটির সফলতার কথা বলতে গিয়ে আব্দুল আজিজ সরদারের মতো প্রবীন নেতাদের ত্যাগের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন

আব্দুল আজিজ সরদার তার জীবদ্দশায় এ ধরনের অভ্যর্থনায় তিনি অভিভূত উল্লেখ করে বলেন কমিউনিটির সেবা আমি আমার জীবনের একটি অংশ হিসাবে ধরে নেই। কি পাব কখনও তা চিন্তাও করিনি। কিন্তু রাণী এলিজাবেথ আমাকে আমার কমিউনিটি এবং কমিউনিটির বাইরের বৃহত্তর কমিউনিটিতে সমাজ সেবামূলক কর্মকান্ডের কারণে ব্রিটিশ এম্পায়ার মেডেলে   ভূষিত করেছেন।

আমি মনে করি এটা সম্ভব হয়েছে আমার কমিউনিটির মানুষের ভালবাসার জন্য। আর আজকে নিজ থানার নিজের হাতে গড়া সংগঠন থেকে সম্মাননার এ স্বিকৃতি অনুভূতি অসাধারণ।

সংগঠনের চেয়ারম্যান মিলিক মিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব সরদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় পর্বে থাকে এ জিসিএসসি ও এ লেভেলে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। ২০১৭-২০১৮ বছরের ২৬ জন শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট প্রদান করে সংগঠনটি। পরিবার পরিজন নিয়ে অনুস্টানটি একটি মিলনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে বলে জানান আয়োজকবৃন্দ।
শিশুদের নিয়ে চমৎকার একটি পর্বের পরিচালনা করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর মাহবুব হোসেন। সংবর্ধিত অতিথি আব্দুল আজিজ সরদারের হাতে ক্রেস্ট তুলেদেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি ফিরুজুল হক ও ব্যারিস্টার ফখরুল আলম চৌধুরী শামীমসহ সংগঠনের সকল সদস্যবৃন্দ।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি সৈয়দ মাশুক আহমেদ, জাহাঙ্গীর আলম, জিয়াউর রহমান, আব্দুল কাইয়ূম, সিজিল মিয়া, অ্যাড. আবুল হাসনাত, কাউন্সিলর খালেদ রেজা খান, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম, জাহান প্রমুখ।

Abc/Britbangla18

Advertisement