আমেরিকার চেয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি অনেক ভালো : ড. মোমেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘আমেরিকার চেয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি অনেক ভালো। আমাদের মানবাধিকার নিয়ে যারা বারবার চিৎকার চেঁচামেচি করেন তাদের লজ্জা থাকা উচিত।তিনি গতকাল সোমবার বিকেলে সিলেট নগরের কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভা শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন।তিনি আরও বলেন, ‘গত ৩ বছরে আমেরিকায় পুলিশ কর্তৃক ৩ হাজার ৭৬ জন বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন এবং ১৫ লাখের বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। একই সময়ে বাংলাদেশে নিহত হয়েছেন মাত্র ৩ জন আর নিখোঁজ হয়েছে হাতেগোনা কয়েকজন। নিজেরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেও আমাদের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ বাক্য করা উচিত নয়।ড. মোমেন বলেন, ‘বিএনপি আমলে রপ্তানি ছিল মাত্র ৬ বিলিয়ন ডলার আর বর্তমান সরকারের আমলে রপ্তানি উন্নীত হয়েছে ৬০ বিলিয়ন ডলারে, যা তাদের তুলনায় ছয়গুণ বেশি।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সরকারের তুলনায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন দশগুণ বেশি রয়েছে। রিজার্ভ নিয়ে বিএনপি অযথাই অপপ্রচার চালাচ্ছে। গত চৌদ্দ বছরে বাংলাদেশে দারিদ্র্যসীমা অর্ধেকে নেমে এসেছে; এটি বিশ্বের মধ্যে রেকর্ড।’

এর আগে, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খানের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মন্ত্রী আব্দুল মোমেন।প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না গেলে দেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশে বোমাবাজি খুন বেড়ে যাবে। বিএনপির জন্ম খুনের মধ্য দিয়ে। তারা খুনির পার্টি। তাই আবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে।বিশেষ অতিথি জাহাঙ্গির কবির নানক বলেন, ‘আমরা এখন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদের বিরোধ ভুলে যেতে হবে। শেখ হাসিনা আমাদের নেতা। তার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক সংকটের কারনে দেশে দ্রব্যমুল্য বেড়েছে। সরকার তা নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করছে।বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শতকরা ৯৯ শতাংশ ভোট যারা রাতের আঁধারে করেছিল তারা এখন আমাদের ভোট শেখায়। গণতন্ত্র শেখায়। আমাদের গণতন্ত্র শেখাতে আসবেন না। শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের জন্য আজীবন লড়াই করেছেন।এতে আরও বক্তব্য দেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও শফিউল আলম নাদেল, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মুশফিক আহমদ চৌধুরী ও আজিজুস সামাদ ডন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, সংসদ সদস্য হাফিজ আহমদ মজুমদার ও হাবিবুর রহমানসহ দলটির স্থানীয় নেতারা।

Advertisement