আর্মেনিয়া-আজারবাইজান যুদ্ধবিরতি নিয়ে যা বলল ইরান

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে গত মাসে নতুন করে যুদ্ধ শুরু হয়। ইতিমধ্যে রাশিয়ার হস্তক্ষেপে সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে দুই দেশ সম্মত হয়। কিন্তু যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিটের মধ্যেই দুই পাল্টাপাল্টি হামলায় জড়িয়ে পড়ে। হামলায় ঘরবাড়ি ছাড়াও বেশ কয়েকজনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

এই পরিস্থিতিতে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়াকে সামরিক উত্তেজনা বন্ধ ও সাময়িক যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে আহ্বান জানিয়েছে ইরান। সোমবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

তেহরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সায়িদ খতিবজাদেহ এক বিবৃতিতে বলেন, ইরান দুই পক্ষকে আরও ধৈর্য ধরতে আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি শহরের অবকাঠামো, আবাসিক এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহতের ঘটনায় নিন্দা জানানো হয়েছে।

যুদ্ধে হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে খতিবজাদেহ দুই দেশকে যুদ্ধবিরতি মানতে আহ্বান জানান। এছাড়া দুই দেশকে তাদের মধ্যে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে আলোচনা, একে অন্যের আঞ্চলিক ভূখণ্ডতা এবং দখলকৃত অঞ্চল ছাড়ার বিষয়েও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এ মুখপাত্র বলেন, ইরান এই অঞ্চলে ‘স্থায়ী ও টেকসই শান্তি ও সমাধানের’ জন্য শান্তি আলোচনায় সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত ছিল।

২৭ সেপ্টেম্বর বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান নতুন করে যুদ্ধে জড়ায়। পরবর্তীতে শুক্রবার রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে ম্যারথন আলোচনা হয়।

এতে উভয় পক্ষ মানবিক কারণে সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। এ যুদ্ধবিরতিতে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবন্দিসহ অন্যান্য বন্দি বিনিময় ও মৃতদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে উভয় দেশ সম্মত হয়।

শনিবার থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিটের মধ্যেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান পরস্পরকে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘেনের জন্য অভিযুক্ত করে।

কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। তবে ওই অঞ্চলটি জাতিগত আর্মেনীয়রা ১৯৯০’র দশক থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ওই দশকেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়।

Advertisement