শায়খে বিশ্বনাথী (রাহ.) ছিলেন আকাবীরে দেওবন্দের প্রতিচ্ছবি ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন ইউকের জমিয়ত নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর সাবেক সভাপতি, জামিয়া মাদানিয়া বিশ্বনাথ সিলেটের প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম, আল্লামা শায়খ আশরাফ আলী বিশ্বনাথী (রাহ:) এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক এক ভার্চুয়াল লাইভ আলোচনা সভা পরিচালনা করেছে ইউকে জমিয়ত।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকের সভাপতি মাওলানা শুয়াইব আহমদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাওলানা সৈয়দ তামিম আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির আলোচনা পেশ করেন ,জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচীব শায়খুল হাদীস আল্লামা নূর হোসাইন কাসিমী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকের প্রধান উপদেষ্টা ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ সভাপতি মাওলানা শায়খ আসগর হোসাইন, সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি নাছির উদ্দিন খান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীন, লন্ডন মহানগর জমিয়তের সভাপতি হাফেজ হোসাইন আহমদ বিশ্বনাথী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সৈয়দ নাঈম আহমদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আখতারুজ্জামান, যুব বিষয়ক সম্পাদক মুফতি সৈয়দ রিয়াজ আহমদ, জামিয়া মাদানিয়া বিশ্বনাথের শিক্ষক মাওলানা হাসান বিন ফাহিম, উপদেস্টা আলহাজ সৈয়দ রাজা মিয়া।
উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আলেম মাওলানা শাহ নজরুল ইসলাম, জামিয়া মাদানিয়া বিশ্বনাথ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শিব্বির আহমদ বিশ্বনাথী, ইউকে জমিয়তের সহকারী ওয়েলফেয়ার সম্পাদক আবদুর রহমান কোরেশী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন- আল্লামা শায়খ আশরাফ আলী বিশ্বনাথী (রাহ.) ছিলেন আকাবীরে দেওবন্দের প্রতিচ্ছবি। তিনি ছিলেন একাধারে একজন বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ, দক্ষ শায়খুল হাদীস, ওলীয়ে কামিল, সু-সাহিত্যিকসহ বহুগুণে গুণান্বিত। তিনি মনে করতেন ওলামায়ে কেরামের ঐক্য ছাড়া কোন আন্দোলনে সফল হওয়া বা কোন লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব নয়। আজীবন ওলামায়ে কেরামের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন। আকাবিরে দেওবন্দের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার তিনি পেয়েছিলেন। তাঁর প্রচেষ্টায় এদেশে জমিয়তের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। তিনি সিলেট জেলা জমিয়তের প্রতিষ্ঠাকালীন সেক্রেটারি থেকে শুরু করে আমৃত্যু কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। জমিয়তের তরে তাঁর জানী-মালী কুরবানি নজিরবিহীন। তিনি বাংলাদেশে জমিয়তের জনক, বাবায়ে জমিয়ত।
বক্তরা আরো বলেন- শায়খে বিশ্বনাথী (রাহ.) ব্রিটিশ, পাক, বাংলাদেশ ত্রীকালেই ইসলামী আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা পালন করেছেন। রাজপথের কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি বই-পুস্তক রচনা করে বাতিল ফেরকা ও ভ্রষ্ট মতবাদের বিরুদ্ধে কলমি লড়াই করেছেন। বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর লেখা ডজন খানেক বই রয়েছে। তিনি ছিলেন ‘মাসিক আল ফারুক’ এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। ইসলামী শিক্ষার প্রসারে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন জামিয়া ইসালামিয়া দারুল উলূম মাদানিয়া বিশ্বনাথ, জামিয়া মাদানিয়া ক্বাওমিয়া (মহিলা মাদ্রাসা) বিশ্বনাথ। আযাদ দ্বীনি এদ্বারা বোর্ডের অগ্রগতিতে নিজের মেধা ও কর্মদক্ষতা দিয়ে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন।
বক্তরা আরো বলেন, শায়খে বিশ্বনাথী (রাহ.) ছিলেন সুন্নাতে নববীর পাবন্দ। সংগ্রামী ছিলেন, কখনো কোন বাতিলের সাথে আপষ করেননি। সাংগঠনিক জীবনে নিয়মানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলাবোধকে গুরুত্ব দিতেন। দূরদর্শী ছিলেন, বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মসূচিতে জোর দিতেন।