ইংল্যান্ডে করোনা সংক্রমন ঠেকাতে টেস্ট এন্ড ট্রেইসের ভুমিকা প্রশ্নবিদ্ধ

ব্রিটবাংলা ডেস্ক : ইংল্যান্ডে করোনা সংক্রমন ঠেকাতে প্রায় ৩৭ বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়ের টেস্ট এন্ড ট্রেইস সিস্টেমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এমপিরা। বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন-উত্তর পর্বে টেস্ট এন্ড ট্রেইসের ব্যয় নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখিন হন প্রধানমন্ত্রী। সংসদের একাউন্টস কমিটি বলেছে, করোনার সংক্রমন ঠেকাতে টেস্ট এন্ড ট্রেইস সিস্টেমের ভুমিকার প্রমাণ দেখা যাচ্ছে না। তবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, টেস্ট এন্ড ট্রেইস সিস্টেম ব্যাপকভাবে সফল হয়েছে।
টেস্ট এন্ড ট্রেইসিংয়ের জন্যে ২০-২১ অর্থ বছরে ২২ বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করা হয়। আর ২১-২২ অর্থ বছরে আরো ১৫ বিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ দেন চ্যান্সেলার। এমপিরা এর কনসালটেন্সি ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একদিনের জন্যে সর্বোচ্চ ৬ হাজার পাউন্ডের বেশি অর্থ পরিশোধ করতে হয় একেকজন কসনালটেন্টকে।

গত সেপ্টেম্বর, অক্টোবরে সংক্রমন বৃদ্ধি পেলেও টেস্ট এন্ড ট্রেইস সিস্টেমের ব্যর্থতার কারণে সাধারণ মানুষকে একশ মাইল পর্যন্ত ড্রাইভ করতে হয়েছে টেস্ট করানোর জন্যে। তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারীতে টেস্ট এন্ড ট্রেইস সিস্টেমের কিছুটা উন্নতি হয়। ১৮ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারীর ভেতরে, টেস্ট করানোর পর ২৪ ঘন্টার ভেতরে রেজাল্ট পেয়েছেন ৮২ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ। আর গত বছরের ৮ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৩ দশমিক ৪ শতাংশ। ফেব্রুয়ারীতে ক্লোজ কন্টাক্ট ট্রেইসের পরিমান ছিল ৯৩ দশমিক ৩ শতাংশ। আর গত বছরের অক্টোবরে ছিল ৬০ দশমিক ১ শতাংশ।
তবে নতুন বছর থেকে একদিনের ভেতরে টেস্টের পরিমান দ্বিগুন হয়েছে। মঙ্গলবারেও এর পরিমাণ ছিল মিলিয়নের বেশি।

ইংল্যান্ডে বর্তমানে প্রায় ১২ হাজার কন্টাক্ট ট্রেইসিং টিম কাজ করছে। তবে এর প্রধান হিসেবে ব্যারোনেস দিদো হার্ডিংয়ের নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় প্রথম থেকেই। বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজার কনসালটেন্ট রয়েছে। এদের কারো কারোকে দিনে সর্বোচ্চ সাড়ে ৬ হাজার পাউন্ড পরিশোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এমপিরা। ২শ ১৭টি আলাদা আলাদা সাপ্লাইয়ার কোম্পানীর সঙ্গে প্রায় ৪শর বেশি চুক্তি রয়েছে টেস্ট এন্ড ট্রেইসের। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ চুক্তি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এমপিরা।

Advertisement